রূপসী বাংলার মেধাবী এবং অপরূপরূপের অধিকারী সহজ সরল এক গ্রাম্য মেয়ে রূপালীর সাথে শহুরে ছেলের রোমান্টিক প্রেমের এক অনবদ্য কাহিনীকে প্রেমের ছন্দ আর কবিতার পরশে মনের মাধুরী মিশিয়ে উপন্যাসের চরিত্র গুলোকে পাঠক সমাজের উপযোগী করে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছি। যার সফলতা আর ব্যর্থতা বিচারের ভার পাঠক সমাজের উপর ছেড়ে দিলাম। হতদরিদ্র পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম পিতা মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা পঙ্গু হওয়ার পর অর্থনৈতিকভাবেও পরিবারটি পঙ্গুত্ববরণ করে। ফলে পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় উপন্যাসের নায়িকা রূপালী পঙ্গু পিতা ও ছোট ছোট ভাই বোনদের তীব্র ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এবং জীবন ও জীবিকার তাড়নায় গ্রাম ছেড়ে শহরে আসে চাকুরীর সন্ধানে। শহুরে জীবনের শুরুতেই কঠিন বাস্তবতা এবং বিকৃত চিন্তা চেতনার অধিকারী চরিত্রহীন এক লম্পট যুবকের খপ্পরে পড়ে সহজ সরল মেয়েটি তার নারী জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যায়। তথাপি ভেঙে না পড়ে জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে মোকাবেলা করে পথের কাঁটা সরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলার স্বপ্ন দেখে। অবশেষে নানাবিধ ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ইসলামের মোহনীয় শিখাকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে যায় সামনের দিকে এবং সোনালী ভবিষ্যতের সন্ধান লাভ করে। রূপালী একজন কর্মজীবি হিসাবে তার কর্মজীবনের অনেক ছোটখাট ঘটনা ও ত্রুটিবিচ্যুতি বইটিতে অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষা মনিপণভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।