“দিনগুলি হায় সোনার খাঁচায়” বই এর ভূমিকা: ‘ধান শালিকের দেশ’ পত্রিকায় উপন্যাসটি ছাপা হয়েছিলো ১৯৮৪ সালে। নিরন্তর তাগিদ দিয়ে এটি লিখিয়ে নিয়েছিলেন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক জনাব ওবায়দুল ইসলাম। তাঁর তাগিদ যে এড়ানো সম্ভব নয় সেটি ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন। ফলে খুব দ্রুত এটি লিখিত হয়েছিলো। বই করতে গিয়ে তাই অনেক জায়গায় বাড়িয়েছি, পরিমার্জনও করেছি বেশ কিছু। আজকাল কিশোরদের দুর্দান্ত গোয়েন্দাগিরি ছাড়া কিশোর উপন্যাস লেখাই হয় না। আমি তেমন গোয়েন্দাগিরি- পারঙ্গম নই। এ উপন্যাসটির কাহিনী একটি কিশোরের জীবনের কিছু অংশকে ঘিরে। সমাজ ও পরিবারের ছোট ছোট চিত্র। যাদের জন্যে লেখা তাদের ভালো লাগলে আমারও ভালো লাগবে।
ফ্ল্যাপের কথা: কৈশোরের দিনগুলির কথা ভুলে যাওয়া মোটেই সহজ নয় কোনো মানুষের পক্ষে। সেই দিনগুলি সত্যিই লুকিয়ে থাকে মানুষের মনের সোনার খাঁচায়। কখনো কখনো সেখান থেকে বেরিয়ে এসে এলোমেলো করে দেয় বর্তমানের ভাবনাগুলাকে। কিশোর তুহিনের সেই সোনার খাঁচার দিনগুলোর কাহিনি লিখেছেন কথাসাহিত্যিক সুব্রত বড়ুয়া তাঁর এই কিশোর-উপন্যাসে অসাধারণ মনকাড়া ভঙ্গিতে। এই বইয়ের পাতায় ডুব দিলে সবারই মনে ভেসে ওঠে কৈশোরের সেই সোনালি দিনগুলোর কথা। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী আয়োজিত ‘অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার’ও পেয়েছিল বইটি সেই সময়ে।
কথাসাহিত্যিক ও বিজ্ঞানলেখক সুব্রত বড়ুয়ার জন্ম চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার অন্তর্গত ছিলোনীয়া গ্রামে, ১৯৪৬ সালে। নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাজীবনের সূচনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর শিক্ষকতার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু। বাংলা একাডেমিতে যোগদান ১৯৭০ সালে। ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ। লেখালেখির সূচনা ছাত্রজীবনে। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ এবং বিজ্ঞানবিষয়ক রচনা সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই পদচারণা রয়েছে তাঁর।