মালয়েশিয়ায় মারদেকা ফুটবল টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগে সংগীত কারণে হায়দারের দিকে কারো নজর পড়েনি। ফুটবলের বড় কোনো আসরে হায়দার খেলার কোনো চান্স পায়নি। কাজেই সে নজর কাড়া কোনো খেলাও উপহার দিতে পারেনি। বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারেশন মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠেয় মারদেকা ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য ১৬ জন প্লেয়ার নিয়ে দল গঠন করে। হায়দার ১৬ জনের দলে ১৬ নম্বরে নির্বাচিত হয়েছে। এই নির্বাচনে দলের ম্যানেজার আসাদুল হক ও কোচের তদবির যে ছিল তা হায়দার জানত না। আসাদুল হকের দৃঢ় ধারণা হায়দার অত্যন্ত উঁচু মানের মেধাবী ও পরিশ্রমী খেলোয়ার। আধুনিক ফুটবলের যথার্থ প্রশিক্ষণ সে পায়নি। এ ছাড়া বড় কোনো দলেও তার অভিষেক ঘটেনি। তাই সে লাইমলাইটে আসেনি বা কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি। ঢাকার দ্বিতীয় শ্রেণির বাসাবো দলের প্লেয়ার হায়দার। এবছরই বাসাবো দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে পয়েন্টে শীর্ষে থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। বাসাবো দলের মধ্যমণি হায়দার। তারই নেতৃত্বে দল এই বিরল সম্মান অর্জন করে। আসাদুল হক খুব মনোযোগ দিয়ে লীগের প্রায় সব খেলা দেখেছেন। হায়দারের বাঁ পায়ের কাজ খুব নিপুণ। এই নৈপুণ্য তাঁর সহজাত। দু-একটি খবরের কাগজে তার দক্ষতার কথা মাঝে মাঝে লেখা হয়েছে বটে, তা অনেকটা ছিঁটে ফোঁটা। হায়দার ঢাকার অভিজাত কোনো দলের প্লেয়ার নয়। সে কোনো বিত্তবান, বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা ও বড় আমলার ঘরের সন্তানও নয়। নিতান্ত সাধারণ ঘরের ছেলে। মিডিয়ার আনুকূল্য পাওয়ার যোগ্যতা তো তার নেই!
তপন চক্রবর্তী জন্ম : ২০ জানুয়ারি, ১৯৪২ পিতা : জ্যোতিরিন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মাতা : চপলাবালা চক্রবর্তী । গ্রাম : সুখছড়ি, উপজেলা : লােহাগড়া, জেলা : চট্টগ্রাম । আনুষ্ঠানিক শিক্ষা : সুখছড়ি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় (অষ্টম শ্রেণি); প্রবর্তক বিদ্যাপীঠ (মাধ্যমিক); চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ (উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক বিজ্ঞান); এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। (স্নাতকোত্তর প্রাণিবিদ্যা)। চাকুরি : টেকনাফ হাইস্কুল; প্রবর্তক বিদ্যাপীঠ; শের-এ-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক কলেজ; রাঙামাটি কলেজ; চট্টগ্রাম সিটি কলেজ; ত্রিবেণীদেবী ভলােটিয়া কলেজ, রানীগঞ্জ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত; বাংলা একাডেমির স্বেচ্ছাবসর গ্রহণকারী উপপরিচালক; এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রােজেক্টে ইনস্ট্রাকশন্যাল ম্যাটেরিয়ালস ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক স্থানীয় শিক্ষা উপদেষ্টা। অনানুষ্ঠানিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। ১.বাংলাদেশ ও ভারতে বিজ্ঞান বিষয়ক অসংখ্য সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ ও কর্মশালা পরিচালনা ।। ২.বাংলাদেশ রেডিওতে বহুবছর ধরে বিজ্ঞানের ফিচার লেখা ও নানান বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও অনুষ্ঠান পরিচালনা । ৩.বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষ্ঠান পরিচালনা ও অংশগ্রহণ। বাংলাদেশের বাংলা ভিশন ও মাছরাঙা ইত্যাদি চ্যানেলে বিজ্ঞান বিষয়ক আলােচনায় অংশগ্রহণ । ৪.সভা-সমিতিতে, সভাপতি, প্রবন্ধ উপস্পক, আলােচক, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি হিশেবে দায়িত্বপালন । ৫. বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধিত্বশীল সংবাদপত্রে ও সাময়িকীতে বিজ্ঞানবিষয়ক নিবন্ধ রচনা ।।