গল্প অনেকেই লেখেন। মনিরা কায়েস গল্প বােনেন। কী প্রকাশপ্রকরণে, কী চরিত্রচিত্রণে, কী প্রতিবেশ-রচনায় প্রাঞ্জল সাবলীলতায় তিনি পাঠককে নিয়ে ঘুরে বেড়ান। কাহিনির অন্দরে-বাহিরে। চতুর্দিকবর্তী বিশাল আয়ােজনে শুরু হওয়া গল্পের রন্ধ্রে-রন্ধে বুনে দেন জীবনের বহুরৈখিক জলছবি। ছােটোগল্পের মধ্যে উপন্যাসের প্রণােদনা ছড়িয়ে দিতে জানেন তিনি। যাপিতজীবনের ঘটনাবলির মধ্যে মহাজীবনের আখ্যান। আর, এখানেই তাঁর ছােটোগল্পের মৌলিকতা। বাজারসাহিত্যের স্রোতে ভেসে যাননি তিনি অনেকের মতাে। লেখেন অল্প। সেই অল্প দীক্ষিত পাঠকের অধিক মনােযােগ কাড়ে। ইতঃপূর্বে প্রকাশিত মনিরা কায়েসের ছােটোগল্পের চারটি বই – মাটিপুরাণপালা, জলডাঙ্গার বায়ােস্কোপ, ধুলােমাটির জন্মসূত্র ও কথামনুষ্যপুরাণ –এ সাক্ষ্যই দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঋদ্ধতর নতুন সংযােজন—অন্ধ কুলঙ্গির টীকাভাষ্য। হাটের কোলাহল উজিয়ে ভিন্ন কিছু। অনিঃশেষ পথচলা ও দূরের গন্তব্য আরাধ্য বলে কাছের দড়িদড়ায় বাঁধা পড়তে দেখা যায় না মনিরা কায়েসকে। দেখা যায় না কোলাহলপ্রবণ মঞ্চে। এড়িয়ে চলেন পােশাকি বাহুল্য। বিশ শতকের সাতের দশকে যেসতীর্থদের মধ্যে উত্থান, নিজস্বতার বিভায় শুরু থেকেই তাঁদের থেকে আলাদা। শক্তিমান এই ভাষাচিত্রীর ছােটোগল্পকে কারও লেখার সঙ্গেই মেলানাে যায় না। অন্ধ কুলঙ্গির টীকাভাষ্যর গল্পগুলােয় তিনি পূর্বতন নিজেকেও অতিক্রম করেছেন।
পৈতৃকবাস : রাজশাহী পেশা : অধ্যাপনা বাংলা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য প্রকাশনা। ছোটোগল্প: মাটিপুরাণ পালা, জলডাঙ্গার বায়ােস্কোপ, ধুলােমাটির জন্মসূত্র, কথামনুষ্যপুরাণ আখ্যান। ঐ যে স্ট্রেচার আসছে গবেষণা বাংলাদেশে রবীন্দ্রচর্চা : মূল্যায়নের রূপান্তর শিশুসাহিত্য বদলে যাওয়ার দিন, সত্যি ভূতের গল্প, ভূতের আমি ভূতের তুমি।