বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা খুবই ভালাে সংবাদ। আপনার মনের আশা পুরণ হােক এই কামনা করি। আমার মেয়ের কথা বাদ দাও, তােমার কথা বল। বিয়েশাদীর কোন খবর আছে কি? আপনার মত দুলাভাই থাকতে আমার আর বিয়ের কোন দরকার নেই। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে যেতে হবে। দুলাভাই আছি ঠিকই কিন্তু কোন কাজে তাে আসতে পারলাম না। যা এসেছেন তাতেই যথেষ্ট আমার আর চাই না। রুবি...। বলুন। আমি তােমার সাথে একান্তে কিছু কথা বলতে চাই। এখানে তাে আর কেউ নেই, বলতে পারেন। না, এখানে না। কথাগুলাে গােপনীয়। খুব গােপনীয় হলে আজ থাক। কারণ আমাকে যেতে হবে। আমি কাল সকালে চলে যাব। তার আগে একটু সময় বের কর। এত ভনিতা না করে বলেন তাে কি বলতে চান। বলতে ভয় লাগে। তুমি যদি সাহস দাও তবে বলতে পারি। বলতে যদি ভয় লাগে তবে বলার দরকার নেই। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে আল্লাহ হাফেজ। একটু দাঁড়াও। কথাটা না বলে পারছি না। কি এমন কথা! রুবি, রুবি আমি তােমারে ভালােবাসি। তােমারে বিয়ে করতে চাই। আপনার মাথা ঠিক আছে তাে? মাথা ঠিক না বেঠিক তা জানি না। তবে তােমারে দেখার পর যে মাথা ঠিক থাকে না এটা জানি। তুমি যদি রাজি থাক তাহলে তােমারে নিয়ে আমি পালিয়ে যাব।
পারভেজ আক্তার। জন্মস্থান : নেত্রকোনা বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। শিল্প-সাহিত্যসংস্কৃতির নানা আঙিনায় পদচারণা থাকলেও সাহিত্য রচনাকে তিনি পেশা হিসেবে নিয়েছেন। এ যাবৎ প্রকাশিত উপন্যাসগুলাের মধ্যে- সাঁঝের প্রদীপ, নীল পবন, অর্ক জেগেছে মহুয়া বনে, এরই নাম ভালােবাসা, ডানাহীন প্রজাপতি, নীলকণ্ঠ নীড়ের ওপারে এবং গল্পগ্রন্থ- সুদূরে গেছি হারিয়ে পাঠক সমালােচকদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। একবিংশ শতাব্দির অতি আধুনিক বাস্তবতা, জীবনমুখীতা এবং রােমান্টিকতা- এ সকল ভিন্নধর্মী চরিত্রগুলােকে তিনি অতি সহজেই সমান্তরাল করে তুলে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁরই সৃষ্ট সাহিত্য কর্মে।