"যখন আসবে মৃত্যুর ডাক" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: শুকরিয়ার সবটুকু তাঁর দরবারে নিবেদিত, যিনি এই জগৎ সংসারের একচ্ছত্র অধিপতি। হৃদয়ের গভীর থেকে অসংখ্য দুরুদ ও সালাম পেশ করছি রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি। ওয়াসাল্লামের শানে যার আখলাক ও চরিত্র গুণ, নীতি ও আদর্শ সর্বক্ষেত্রে সর্বযুগের মানুষের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। দুনিয়ার এই ক্ষুদ্র জীবনটা মানুষের প্রকৃত জীবন নয়। প্রকৃত জীবন শুরু মউতের পর থেকে। মানুষের ঘাড়ের উপর হিংস্র মৃত্যু থাবা উঁচিয়ে আছে। আর ওদিকে কবর প্রতিদিন পাঁচ বার ডেকে বলে—“আমি একাকিত্বের ঘর, অন্ধকার ঘর, পােকামাকড়ের ঘর । কাজেই আমার নিকট আসার সময় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এসাে। তাে এই দুনিয়া হলাে একেবারে ক্ষণস্থায়ী, স্থিতিহীন, অবিশ্বস্ত। মৃত্যুর পর মানুষ মাটির মাঝে দাফন হয়। এরপর ক্রমশ সেই দেহ পচেগলে মাটির সঙ্গে মিশে এক সময় নিজের অস্তিত্বের চিহ্নটুকুও হারিয়ে ফেলে। এরপর একদিন গােটা পৃথিবীরই মৃত্যু হয়ে যাবে। মানব-দানবসহ সকল প্রাণীরই অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তারপর শুধুমাত্র মহান রাব্বল আলামীনের অস্তিত্ব ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। গােটা সৃষ্টিজগৎ এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হবে। আলােচিত গ্রন্থে কিয়ামত, হাশরনশর, জান্নাত-জাহান্নাম সম্পর্কে আলােকপাত করা হয়েছে। তাবলীগি দুনিয়ার ঝলমলে তারকা মাওলানা তারিক জামিল, যার আলােচনার প্রধান বৈশিষ্ট্যই হলাে কুরআন নির্ভরতা। কুরআনে কারীমকেই যিনি আলােচনার উপজীব্য হিসাবে গ্রহণ করেন। তাঁর বিভিন্ন মজমায় আলােচিত পরকাল সম্পর্কিত বয়ানসমূহ থেকে চয়ন করে এই গ্রন্থটি প্রকাশ করা হলাে। এটি প্রকাশে যারা নানাভাবে সহযােগিতা করেছেন তাদের সকলকে মহান আল্লাহ তাআলা উত্তম প্রতিদানে ভূষিত করুন। আমীন।
তারিক জামিল (যিনি মাওলানা তারিক জামিল নামে অধিক পরিচিত, জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯৫৩) একজন প্রভাবশালী পাকিস্তানি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, দায়ী এবং তাবলিগ জামাতের সদস্য। ইসলাম প্রচারক হিসেবে তার সাধারণ জীবনযাত্রা এবং পাশাপাশি উর্দু ও আরবিতে সাবলীল বক্তৃতা তাকে মুসলিম বিশ্বজুড়ে খ্যাতি এনে দিয়েছে। মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, অভিনেতা, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সকল স্তরের মানুষকে তিনি প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছেন।[১] শিক্ষাজীবনে তিনি তাবলিগ জামাত দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ডাক্তারি পড়াশোনা ছেড়ে নিজেকে ইসলাম শিক্ষায় নিয়োজিত করেছিলেন। ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি সমাজসেবা ও শিক্ষায় অবদানের অংশ হিসেবে তিনি মাওলানা তারিক জামিল ফাউন্ডেশন, জামিয়া আল হুসায়নিয়া মাদ্রাসা ও মিম একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০২১ সালে তিনি এমটিজে ব্র্যান্ড নামে একটি কাপড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে তিনি সবসময় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম জরিপে শীর্ষ ৫০-এ অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি দুইবার প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার জিতেছেন।