বই পরিচিতি: ন্যানো কবি নিশান প্রকৃতি ও জীবনের নানা গল্প ও সত্য ছন্দোবদ্ধ করে। হঠাৎ-ই অদ্ভুতুড়ে এক রহস্যের জালে আটকে যায় তার জীবন! সেই মায়াজাল ছিন্ন করতে উন্মুখ হয়ে ওঠে সে। পাঠকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ন্যানো কবির জীবনালেখ্য ‘মায়া’ বারবার উঠে এসেছে বেস্ট সেলার উপন্যাসের তালিকায়।
ভূমিকা (লেখকের কথা): মন বড় বিচিত্র। কখনো আটকে যায় সঙ্গীর মায়ায়; কখনো থাকতে চায় নিঃসঙ্গতার মায়ায়। জীবনে নিঃসঙ্গতার মায়ায় জড়িয়ে পড়া এমনই এক মুহূর্তে হঠাৎ খুঁজে পেলাম, ‘মায়া’ কোনো সাধারণ শব্দ নয়! হররোজ খুঁজে চলা জীবনের খোঁজ যেন আছে ‘মায়া’ শব্দটির ভেতরেই। জীবন মানেই তো মায়ার (মমতা বা ভালোবাসা) কতক সুতার অস্তিত্ব ধীরেধীরে স্পষ্ট হওয়া! কখনো মায়ার (মোহ বা ইন্দ্রজাল) কবলে পড়ে সম্পর্কের সুতা হয় মোহাচ্ছন্ন; কখনোবা মায়ার (ছলনা বা কপটতা) ছোবলের তোড়ে সম্পর্কের সুতাই ছিঁড়ে যায়! তবে থেমে থাকে না জীবন। এই মায়াম-লে পরম স্থির কিছুই নেই। মায়াময় নতুন অনুষঙ্গে জড়িয়ে জীবন এগিয়ে যায় সময়ের সাথে। আসিফ মেহ্দী চামেলী কটেজ, বসন্তপুর, ঝিনাইদহ জানুয়ারি, ২০১৫
বইটির উৎসর্গপত্র: জীবনের ক্যাটালগে আছে অ্যানালগ মায়া; আছে ডিজিটাল মায়া। অ্যানালগ মায়া গড়ে পৃথিবীর কায়া; কিন্তু ডিজিটাল মায়া ছায়াসর্বস্ব! অ্যানালগ এই জীবনে আনন্দ-বেদনা-উৎসবের ক্ষণে কিছু প্রিয়মুখ পাশে পাই। তাদের সংস্পর্শ আনন্দকে করে পূর্ণ; বেদনাকে করে চূর্ণ। শুভকামনা সেই দুই দম্পতির জন্য- -আতিক মেহ্দী ও ত্রিষামা রেজওয়ানা তারেক মেহ্দী ও আজবীনা রহমান।
সাহিত্যের প্রতি আসিফ মেহ্দীর ঝোঁক ছাত্রজীবন থেকেই। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস+আলো’তে লেখার সুবাদে রম্যলেখক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন আগেই। সেই সূত্রে প্রথম বইটাও রম্যগল্পের। ‘বেতাল রম্য’ নামের সেই বইয়েই আসিফ মেহ্দী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। এরপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বই শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেনি, উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। সাম্প্রতিক সময়ে লিখছেন দেশসেরা কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’তে। ব্যঙ্গ আর হাসির সঙ্গে গভীর জীবনবোধের প্রতিফলন ঘটিয়েই আসিফ মেহ্দী এ সময়ের জনপ্রিয় লেখকদের কাতারে নিজের অবস্থানটা বেশ পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন।
এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্ট্যান্ড করেছেন আসিফ মেহ্দী। বুয়েট-এ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় নিজ ক্যাডারে ১ম স্থান অধিকার করে বর্তমানে বাংলাদেশ বেতারের গবেষণা ও গ্রহণ কেন্দ্রে সহকারী বেতার প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সহধর্মিনী মৌবীণা জ্যাকলিন বারি পেশায় ডাক্তার।