"আমালিয়াতে কাশ্মিরী" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: সাহাবায়ে কেরাম রাযি. বিপদজনক রােগে আক্রান্ত হলেও তাবিজ লিখে গলায় ঝুলাতেন। দুনিয়া আমাকে কী বলবে? কুসংস্কারাচ্ছন্ন, সেকেলে কিংবা মধ্যযুগীয়? আমি এসবের পরােয়া করি না। তবে নিজের এই বিশ্বাস লুকিয়ে রাখতে পারবাে না যে, পরীক্ষিত ও বিজ্ঞানসম্মত ঔষধ নিস্ফল হতে পারে কিন্তু ইনশাআল্লাহ পবিত্র কুরআনের আয়াত থেকে সংগৃহিত তাবিজ, হাদীসে বর্ণিত দুআ ও যিকিরসমূহ অকার্যকর হতে পারে না। আপনাদের হাতে থাকা উর্দু গ্রন্থটি মুহতারাম পিতা আল্লামা সাইয়েদ আনওয়ার শাহ, রহ.-এর পাণ্ডুলিপির উর্দু অনুবাদ। হারুত মারুতের ঘটনার ব্যাপারে তার অভিমত হলাে, এই দু’জন ফেরেশতা বনী ইসরাঈলের গােমরাহীর সময় দূর্ভাগ্যেবশত তাদের সকল চিত্তাকর্ষক যাদু টোনা’সহ সেখানে বিদ্যমান ছিলাে। তাদেরকে আসমানী কিতাবসমূহ থেকে সংগৃহিত এমনসব উন্নত ইলম-কালাম শিক্ষা দেয়ার জন্য পাঠানাে হয়েছিলাে, যেমন ইসলামে কুরআন ও হাদীস থেকে সংগৃহিত তাবীজ ও ওজীফাসমূহের দফতর রয়েছে। যাই হােক, অধমের নগন্য কলম থেকে যা কিছু তীক্ষ ও রুক্ষ কথা বের হয়ে গেছে, তা মূলত দিল ও দেমাগ থেকে সেসব ধুলােবালি দূর করার জন্য ছিলাে, যা বাস্তবতা অস্বীকারকারীদের শােরগােলের কারণে পরতে পরতে জমে গিয়েছিলাে। অন্যথায় বাস্তবতা তাে এটাই যে, ইসলাম শারীরিক চিকিৎসার বিরােধী নয়, ঔষধ-পাতিরও নয়। কিন্তু প্রয়ােজনের সময় রূহানী চিকিৎসাকেও ব্যবহার করা যেতে পারে। তার প্রমাণও হাদীসের ভাণ্ডারে বিদ্যমান রয়েছে। যা কিছু লেখা হয়েছে, তার সারমর্ম শুধু এতটুকুই, যা সম্মানিত পাঠকবৃন্দের সামনে কবিতা আকারে পেশ করছি।