"তুমি সেই তরবারি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: কাশেম ব্যারিস্টার হওয়ার জন্য লন্ডনে এসেছিল। কিন্তু পড়া আর হয় না। টাকায়ও কুলায় না। তাই ঢাকায় গিয়ে সাকিনাকে বিয়ে করে আনে। সাকিনা একটা কাজ করবে, সেই টাকায় কাশেম পড়বে। কিন্তু পড়ায় তার মন নেই। এদিকে বন্ধুর স্ত্রী সাকিনাকে ভালােবেসে ফেলে বেলাল। শারীরিক অক্ষমতার ক্রোধে কাশেম সাকিনাকে খাট থেকে ফেলে দেওয়ার পর বেলাল জয় করে সাকিনাকে। সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়, সাকিনা তাকে [বেলালকে] নিজের হাতে সুড়ঙ্গের ভেতরে নিয়ে গেল আর সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুচ্চমকের মতাে অস্তিত্বের নীলিমা চিরে গড়িয়ে পড়ল শরীরের কষ। তার নিজের কিছু নেবার না। ছিল শুধু এই লােকটি যে তাকে এমন করে ভালােবাসে সেই তাকে ভালােবাসার অন্তর্গত সবকিছু দেবার ব্যাকুলতা, তার প্রথম অভিজ্ঞতার দিশারি হবার হয়তাে উচ্চাকাঙ্ক্ষা। তাই সাকিনার পক্ষে এখন সম্ভব হলাে, নিজেকেই দূর থেকে দেখা। এমন কিছু সে দেখতে পেল না, যা আগে দেখেনি; এমন কিছু ঘটল না, যা আগে ঘটেনি। সাকিনা এখন নির্মমভাবে অনুভব করল, ভালােবাসার সঙ্গে এর কোনাে সম্পর্ক নেই। ভালােবাসা এর উর্ধ্বেও নয়, নিচেও নয়। ভালােবাসা এর বাইরে এবং বিযুক্ত বিদেশের পটভূমিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম একটি প্রেমের উপন্যাস।
জন্ম : ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৩৫ প্রয়াণ : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ পুরস্কার : আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, নাসরিউদ্দনি র্স্বণপদক, জেবেন্নুসা-মাহবুবউল্লাহ্ র্স্বণপদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার, কবিতালাপ পুরস্কার, পদাবলী পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পদকসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।