"কুয়াশিয়া স্পেলমেকারের অনুসন্ধান" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ খুব ধীরে-ধীরে পরিবর্তিত হতে থাকা পৃথিবী ভয়ংকর এক পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কোনাে এক অদ্ভুত কারণে এই প্রকৃত সত্যটা কারাে কাছেই ধরা দিচ্ছে না, শুধুমাত্র একজন ছাড়া-অ্যারন এথেন্ডিল। নিজেকে বদ্ধ উন্মাদ ভাবতে থাকা অ্যারন। শীতের ছুটিতে বাড়িতে এসে আবারাে নতুন করে সেই পরিবর্তনটার সম্মুখীন হয়। যেটা তার জীবনকে গত এক বছর ধরে বিভীষিকায় পরিণত করে রেখেছে। কিন্তু কেন হচ্ছে এই পরিবর্তনগুলাে? আর সেগুলাে অন্যরা বুঝতে পারছে না কেন? প্রশ্নগুলাের উত্তর পাওয়ার আগেই রহস্যময় এক দানবের আক্রমণে অ্যারনের জীবন ধ্বংসের একদম কাছাকাছি চলে যায়। ওর ভাগ্য তাকে খুবই ভয়ংকর এক অভিযানে নামতে বাধ্য করে-সেই অভিযান, যেটার সফলতার উপর শুধু নির্দিষ্ট কারাে জীবনই নয়, নির্ভর করছে আরাে অনেক বড় কিছু ... এ কাহিনী সেই জগতের, যেখানে জাদুকরদের ক্ষমতাকে আইনের মাধ্যমে বেঁধে রাখা হয়। ইচ্ছামতাে স্পেল প্রয়ােগ করার স্বাধীনতা নেই তাদের, বরং সবচেয়ে শক্তিশালী পেলগুলাে তাদেরকে বানিয়ে নিতে হয় পেলমেকারদের মাধ্যমে। সেই সাথে ওগুলাে প্রয়ােগ করার জন্য অনুমতি নিতে হয় খুব প্রাচীন এক সংগঠনের কাছ থেকে, যার নাম ‘পেনিক'। কিন্তু শুধুমাত্র উইজার্ডদের জন্যই কেন এই নিয়ম? তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতাকে ভয় পাওয়ার প্রকৃত কারণটা কী? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে এইখানে ... কুয়াশিয়ায় ... যেখান থেকে শুরু- হয়েছিল সবকিছু ...