"তারাবির রাকাত সংখ্যা ৮ না ২০" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: তারাবীহ-এর নামায রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষ সুন্নাত। নববী যুগ থেকে এর ধারা এবং জামাআতের সাথে তারাবীহ-এর নামায আদায়ের নিয়ম চলে আসছে । ১২০০ বছরের বেশি সময় ধরে মুসলিম উম্মাহর গ্রহণযোগ্য সকল আলেমের মত ও আমল এটাই ছিল যে, তারাবীহ ২০ রাকআত সুন্নাত। আবার কারও কারও নিকট তার চেয়েও বেশি। সাম্প্রতিক শতাব্দীকালের কিছু কমবেশি সময় থেকে আমাদের সমাজে একটি প্রশ্ন ধীরে ধীরে প্রচলিত হতে থাকে। তা হচ্ছে, তারাবীহ-এর রাকআতসংখ্যা কত? এরই ধারাবাহিকতায় হিজরি ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষদিকে ভারতে একজন গায়রে মুকাল্লিদ আলেম ফতোয়া দিয়েছিলেন, তারাবীহ আট রাকআত সুন্নাত। তিনি এর দ্বারা হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর জমানা থেকে চলে আসা সকল সাহাবী, তাবেয়ী, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, মুসলমানদের বৃহৎ জামাআত ও প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যের সকল আলেমের আমলকে সুন্নাতের খেলাফ আখ্যায়িত করেছেন। ধীরে ধীরে গায়রে মুকাল্লিদদের এ ফেতনা প্রসার লাভ করতে শুরু করে। বিশেষ করে তিরমিযী শরিফের একজন ব্যাখ্যাকার জনাব আবদুর রহমান মোবারকপুরী এ মতের পক্ষে হিন্দুস্থানে জোর প্রচারণা শুরু করেন। তিনি যখন এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি আর ধোঁকাবাজির সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তার প্রতিবাদে কলম ধরেন দারুল উলুম দেওবন্দের গৌরব শায়খুল হাদিস আল্লামা হাবিবুর রহমান আযমী রহ.। তিনি আহলে হাদিসের সকল প্রশ্নের মুখে কুলুপ এঁটে দেওয়ার মতো যুগান্তকারী কিতাব ‘রাকআতে তারাবীহ’ রচনা করেন। তিনি এই সংক্ষিপ্ত পুস্তিকায় আহলে হাদিসের উদ্ভাবিত নতুন তত্ত্বের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।