“বিল্ডিং সার্ভিসেস ও ফায়ার সেফটি " বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ দেশও জাতিকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছতে হলে প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্পর্কে আমাদের আরও অগ্রসর হতে হবে এবং ব্যাপক জনগােষ্ঠির মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের দেশে সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে দালান নির্মাণ শিল্পে জাতীয় সম্পদের এক সিংহভাগ বিনিয়ােগ হয় । সম্পদের সদ্ব্যবহারসহ নির্মিত দালানকোঠা যাতে সর্বোত্তম ব্যবহার উপযােগী হয় সেজন্য দালানের ইউটিলিটি সার্ভিস, যথা- পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ ও ব্যবহার প্রসঙ্গে জ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটানাে প্রয়ােজন । দালান নির্মাণে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, এয়ারকন্ডিশনিং, জেনারেটর, লিফট ও এসকালেটর, গিজার ইত্যাদির ব্যবহার আগের চেয়ে। বহুগুণে বেড়েছে। অথচ এসবের অপারেশন ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জনসাধারণের কমই জ্ঞান রয়েছে। ফলে দুর্ঘটনা ঝুঁকি সাথে নিয়েই আমাদের বসবাস করতে। হচ্ছে। দালানে বৈদ্যুতিক সুবিধাদি প্রদান, সুপেয় পানির সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন, জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ যেমন প্রয়ােজন তেমনি বৈদ্যুতিক হ্যাজার্ডস, শব্দ দূষণ ও অগ্নি দুর্ঘটনা ইত্যাদি থেকে দালানকে সুরক্ষা করাও অতীব জরুরি। নানা কারণে পরিবেশ এর প্রভূত ক্ষতি সাধন হয়েছে ও । হচ্ছে। ফলে বজ্রপাত এক সাক্ষাৎ বিভীষিকা হয়ে দেখা। দিয়েছে। গ্রীষ্ম-বর্ষায় প্রতিদিন বজ দুর্ঘটনায় অনেক। মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। বজ্রপাতে প্রাণহানি রােধে নির্মিত। দালানকোঠা বজ্রনিরােধক করা আবশ্যক। ইদানীং শব্দ। দূষণ এক নীরব ঘাতকরূপে আবির্ভূত হয়েছে। কাজেই দালান ব্যবহারকারীগণ যাতে শব্দ দূষণে আক্রান্ত না হয়। সেজন্য দালানের সঠিক পরিকল্পনা ও অরিয়েন্টশন ছাড়াও। গুরুত্বপূর্ণ দালানের অ্যাক্যস্টিকস ডিজাইন ও নয়েজ। কনট্রোল অপরিহার্য। দালানে জ্বালানি গ্যাসের ব্যবহার ও বৈদ্যুতিক সুবিধাদি। বৃদ্ধির ফলে অগ্নিঝুঁকি অনেকগুণে বেড়েছে। আগুন লাগলে প্রাণহানিসহ মূল্যবান সম্পদ পুড়ে ছাই হয় । প্রতিকারের। চেয়ে প্রতিরােধ শ্রেয়। কাজেই অগ্নি দুর্ঘটনার বিষয়টি দালান পরিকল্পনা ও নির্মাণ পর্যায়েই বিবেচনায় নিতে। হবে। অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি যাতে কম হয় সেজন্য ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী দালানে ফায়ার ভেন্ট ও প্রয়ােজনীয় এক্সিটওয়ে স্থাপনসহ অগ্নি নির্বাপণের আধুনিক। কলাকৌশল ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ আবশ্যক ।