"ধর্ম ও শিষ্টাচার "বইটির ভূমিকা: الحمد لله الذي جعلنا من امة سيد المرسلين وخاتم النبین وجعلنا من السالكين مسلك علماء دیوبند والصلواة والسلام على معلم الجن والانس النبي الاكرم وعلى اله واصمابه أجعين - | ২। বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ, দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসা একটি ইলহামী দ্বীনি মারকায, যার প্রত্যেক রুহানী সন্তান বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তেমনি হাকীমুল ইসলাম আল্লামা ক্বারী তায়্যেব সাহেব (রহ.) সেই দেওবন্দ মাদরাসার একজন সুযােগ্য রুহানী সন্তান। যিনি সুদীর্ঘ পঞ্চাশ বছর দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার মকবুল পদ’ মুহতামিমের দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালন করেছিলেন। যার বয়ান ও লিখনি পথহারা উম্মতে মুসলিমার জন্য অন্যতম রাহবর তুল্য। হযরতরেই একটি বয়ানের সংকলন দ্বীন আওর আদব’ যা কুরআন ও হাদিসে তত্ত্বপূর্ণ, আকাবিরীনের বিভিন্ন ঘটনা সম্বলিত। যেহেতু বর্তমানে আহলেহক উলামায়ে কেরাম আলহামদুলিল্লাহ’ মাতৃভাষা বাংলা চর্চার প্রতি বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন। পক্ষান্তরে হযরত হাকীমুল ইসলামের (রাহ.) এই বয়ানটি আদব-মিষ্টাচারিতার ব্যাপারে খুবই উপকারী হবে বলে আমার একান্ত বিশ্বাস। সেই বিবেচনায় ইহার নুিবাদের কাজে হাত দিয়েছি। অনুবাদের পান্ডুলিপি তৈরির পর ছাপানাের জন্য ইউনুছিয়া লাইব্রেরী সত্তাধিকারী মােঃ বশির আহমদ এর প্রচেষ্টায় আল-মাহমুদ। প্রকাশনী এর পরিচালক বন্ধুবর মাওলানা নূরুল্লাহর সঙ্গে যােগাযােগ হওয়ার পর তিনি ছাপানাের দায়িত্ব নেন। আমি মানুষ হিসেবে ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। অনুবাদ কাজে কোথাও ভুলত্রুটি দৃষ্টিগােচর হলে অবগত করালে কৃতজ্ঞ থাকব। পরবর্তী সংস্করণে সংশােধনের তওয়াদা রইল ইনশাআল্লাহ। পরিশেষে সকলের শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ পাক সকলকে উত্তম জাযাদান করুন। পরকালের নাজাতের উছিলায়। বানিয়ে দিন। আমীন! سیدالمرسلين وخاتم النبیین صلی الله عليه وسلم .
কারী মুহাম্মদ তৈয়ব কাসেমি (জন্ম: ১৮৯৭ - মৃত্যু: ১৭ জুলাই ১৯৮৩) ভারতীয় ও দেওবন্দি ধারার ইসলামী চিন্তাবিদ। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ কাসেম নানুতাবির দৌহিত্র। তিনি ১৯২৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম (উপাচার্য) ছিলেন। তার পিতার নাম মাওলানা হাফেয মুহাম্মাদ আহমদ। সাত বছর বয়সে তিনি দারুল উলূম দেওবন্দে ভর্তি হন। প্রথমে কুরআন হিফজ করেন। তারপর পাঁচ বছর ফারসী, গণিত স্তরের শিক্ষা অর্জন করে আরবির সিলেবাস আরম্ভ করেন। হাদিসের বিশেষ সনদ তিনি লাভ করেছিলেন তৎকালীন বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহ., আযীযুর রহমান উসমানী, হাবীবুর রহমান উসমানী, শাব্বীর আহমদ উসমানী এবং আসগর হুসাইনের মতো বিখ্যাত মনীষীগণ থেকে। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন আরম্ভ করেন। ১৯২৪ সালের শুরুতে দেওবন্দের নায়েবে মুহতামিম এবং ১৯২৯ সালে তাকে মুহতামিম করা হয়। তার আমলে দারুল উলূমে ব্যাপক উন্নতি হয়। মুসলিম ইউনিভার্সিটি আলীগড় এবং অন্যান্য ইউনিভার্সিটিসমূহে তার বয়ান ছিল বিশেষ সমাদৃত । তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা শ’য়ের কাছাকাছি।