''একচক্ষু হরিণীরা" এক বাউন্ডুলে যুবক মুকুলের গল্প, গর্ভে থাকতেই যার মা তার একটি চোখ নেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। আপাত-সামান্য লোভটুকুকে কেন্দ্র করে সন্তানকে বড় করতে থাকেন তিনি। বড় হয়ে একথা জানার পর মুকুল পালিয়ে যায়। শহরের পরিচিত এক কোণে চলতে থাকে তার পলাতক জীবন। সে জীবনে অকস্মাৎ পরিচয় ঘটে আহির নামে এক সাদামাটা নারীর সাথে। এলোমেলো-রুক্ষ জীবনে আহির তার কাছে আসে এক কুয়ো জলের মতো। এই জলের ঝাপটায় রহস্যময়ী মুনিয়ার ডাক উপেক্ষা করতে চায় মুকুল। এই অবগাহন আর উপেক্ষার মাঝখানে শহরের এক পার্কে তার সাথে আচমকা সাক্ষাৎ ঘটে নূরীর, যে সাক্ষাৎ মোটেও কাঙ্ক্ষিত ছিল না দুজনের কারুরই। মুকুল কি শেষ পর্যন্ত পারে মুনিয়ার ডাক উপেক্ষা করতে? আহিরের কোমল আশ্রয়ই তাকে কতটা লুকিয়ে রাখতে পারে হৃদয় আর বাইরের পৃথিবীর ঝাপটা থেকে? শেষ পর্যন্ত কি নিজের একটি চোখ দিতে বাড়ি ফিরে গিয়েছিল মুকুল, পারুলের কাছে? তার পিতার কাছে? অতীত এবং বর্তমান সমান্তরালভাবে এগিয়ে যেতে থাকে একচক্ষু হরিণীরা উপন্যাসে। মুকুল এ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেও মুখ্য চরিত্র প্রকৃতপক্ষে পারুল, আহির, মুনিয়া আর নূরী নামের নম্র হরিণীরা। একচক্ষু হরিণীরা তাদেরও গল্প।''
জন্ম ৬ ডিসেম্বর। পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। কথাসাহিত্য ও কবিতা—দুই মাধ্যমেই স্বচ্ছন্দ। প্রকাশিত উপন্যাস তিনটি—একচক্ষু হরিণীরা; অমরাবতী; আরও গভীরে। কবিতাগ্রন্থ চারটি—বিব্রত ময়ূর; সুখী ধনুর্বিদ; তৃতীয় অশ্বারোহী; ইহুদির গজল। বিব্রত ময়ূর-এর পাণ্ডুলিপির জন্য মার্কিন গবেষক অধ্যাপক ক্লিনটন বি সিলি ও প্রথমা প্রকাশনের যৌথ উদ্যোগে প্রবর্তিত ‘জীবনানন্দ দাশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ১৪২২’ পেয়েছেন। একই গ্রন্থের জন্য পরবর্তীকালে পেয়েছেন ‘মাহবুবুল হক শাকিল পদক ২০১৭’। বর্তমানে দৈনিক প্রথম আলোয় কর্মরত।