'গণিত জানো অলিম্পিয়াড লড়ো' বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ এটা প্রায়ই লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অনেক পাঠক-পাঠিকা বা ছাত্র-ছাত্রী একটা ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে চলে। আর তা হলো-পূর্ববর্তী গণিত অলিম্পিয়ার্ডের প্রম্নগুলো আলোচনা ও অনুশীলন করলেই বুঝি গণিত অলিম্পিয়ার্ডে ভালো ফল করা যায়। আসলে কিন্তু বাস্তবতা সেটি নয়। গণিত অলিম্পিয়ার্ডে পূর্বে যে প্রশ্ন হয়েছে ভবিষ্যতে সেই প্রশ্ন বা সে ধরনের প্রশ্ন আর কেখনোই আসে না। এটা আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়ার্ড বা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের গণিত অলিম্পিয়ার্ড কমিটি খুবই যত্ন সহকারে বিশেষ নজরদারীর মাধ্যমে নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করে থাকে। অর্থাৎ কোনোভাবেই আর পূর্বের প্রশ্নের বা পর্ববর্তী প্রশ্নের ধরনের সমস্য আর নতুন করে দেয়া হয় না। তাই শিক্ষার্থীদের উচিৎ তাদের পাছ্যবইয়ের সাথে গণিতের চিন্তামূলক বইপত্র পড়া ও অনুশীলন করা সেই উদ্দেশ্যেই এই বইয়ের রচনা। বইটিতে রয়েছে প্রায় সহস্র গাণিতিক প্রশ্ন ও উত্তর। যা অনুশীলন করলে ছাত্র-ছাত্রীদের গণিতের প্রতি যেমন আগ্রহ তৈরি হবে তেমনি তাদের গণিত অলিম্পিয়ার্ডে লড়াই করার জন্য মানসিকতার উন্মেষ ঘটবে।
ভূমিকা এটা প্রায়ই লক্ষ করা যাচ্ছে যে, অনেক পাছক-পাঠিকা বা ছাত্র-ছাত্রীরা একটা ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে চলে। আর তা হলো পূর্ববর্তী গণিত অলিম্পিয়ার্ডের প্রশ্নগুলো আলোচনা ও অনুশীলন করলেই বুীঝ গণিত অলিম্পিয়ার্ডে ভালো ফল করা যায়। আসলে কিন্তু বাস্তবতা সেটি নয়। গণিত অলিম্পিয়ার্ডে পূর্বে যে প্রশ্ন হয়েছে ভবিষ্যতে সেই প্রম্ন বা সেই ধরনের প্রশ্ন আর কখনোই আসে না। এটা আন্তর্জাাতিক গণিত অলিম্পিয়ার্ড কমিটি এবং বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়ার্ড বা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের গণিত অলিম্পিয়ার্ড কমিটি খুবই যত্ন সহকারে বিশেষ নজরদারীর মাধ্যমে নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করে থাকে। অর্থাৎ কোনভাবেই আর পূর্বের প্রশ্নর বা পূর্ববর্তী প্রশ্নর ধরনের সমস্যা আর নতুন করে দেয়া হয় না। তাই শিক্ষার্থীদের উচিৎ তাদের পাঠ্যবইয়ের সাথে গণিতের চিন্তামূলক বইপত্র পড়া ও অনশীলন করা। সেই উদ্দেশ্যেই এই বইয়ের রচনা। বইটিতে রয়েছে প্রায় সহস্র গাণিতিক প্রশ্ন ও উত্তর। যা অনুশীলন করলে ছাত্র-ছাত্রীদের গণিতের প্রতি যেমন আগ্রহ তৈরি হবে তেমনি তাদের গণিত অলিম্পিয়ার্ডে লড়াই করার জন্য মানসিকতার উন্মেষ ঘটবে। বইটি যদি সেই আশা পূরণ করতে পারে তবেই আমার প্রচেষ্টা সার্থক হবে।
সূচিপত্র * গণিতশাস্ত্রের আদি কথা-১১ * অঙ্কশাস্ত্রের প্রথম ভাগ-১৩ * অঙ্কশাস্ত্রের দ্বিতীয় ভাগ-২৭ * ব্যবসায় গণিত প্রাথমিক আলোচনা-৩০ * নিয়মাবলী-৩১ * অনুপাত ও সমানুপাত-৩১ * ভেদ-৩৩ * সমীকরণঃ সরল ও দ্বিঘাত সমীকরণ-৩৪ * সহ-সমীকরণ-৩৫ * প্রগতি/ধারা-৩৬ * অসীম শেণী-অভিসারী ও অপসারী শ্রেণী-৩৭ * অসমতা-৩৮ * বিন্যাস ও সমবায়-৩৮ * দ্বিপদ উপপাদ্য-৩৯ * লগারিদম-৩৯ * চক্রবৃদ্ধি ও বার্ষিকী-৪০ * অংশীদারী ব্যবসা -৪২ * স্টক ও শেয়ার-৪৩ * স্থানাঙ্ক জ্যামিতি-৪৬ * পাচীগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতির সাংকেতিক চিহ্ন-৪৭ * পাটীগণিতের প্রয়োজনীয় সূত্রসমূহ-৪৮ * বীজগণিতের সূত্রসমূহ-৫০ * জ্যামিতির সূত্রসমূহ-৫১ * ত্রিকোণমিতি-৫৪ * বিভাজ্যতা ও সংখ্যা-৫৫ * দশমিক ভগ্নাংশ-৫৭
সৌমেন সাহা ১৯৮০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব কেটেছে এই জেলাতেই। খুলনার স্বনামধন্য সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও সরকারি সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয় থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি পি.সি. কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। বিজ্ঞান , প্রযুক্তি ও গণিতের প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ ছিল শুরু থেকেই। সেই আগ্রহ থেকেই পাড়ি জমান সুদূর ইংল্যান্ডে। সেখানকার লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে লন্ডন কলেজ অব বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড কম্পিউটিং বিভাগ থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমাসহ বি.এস.সি. ডিগ্রি লাভ করেন। সৌমেন সাহা নিয়মিত বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, বিশেষত বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখি করেন। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, মাসিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় তাঁর প্রকাশিত লেখার সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক। তাঁর পেশাগত জীবনেও তিনি বিজ্ঞান গবেষণার সাথে জড়িত। খুলনার ঐতিহ্যবাহী প্রাণিক বিজ্ঞানাগার খুলনার কেন্দ্রীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। জাতীয় বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রকল্পের উদ্ভাবনের কারণে তিনি পুরস্কৃতও হয়েছেন। পাঠক সমাদৃত সৌমেন সাহা এর বই সমূহ হলো ‘প্রাচীন ভারতীয় গণিত ও জ্যোতির্বিদ’, ‘বৈদিক গণিতের পরিচয়’, ‘পাগল করা গণিত’, ‘যন্ত্ররা যেভাবে কাজ করে’, ‘বিজ্ঞানের জানা অজানা কথা’, ‘জ্যোতির্বিজ্ঞানের সহজ পাঠ’, ‘মাথায় কত প্রশ্ন আসে’ ইত্যাদি। তাঁর লেখার মূল বিষয়বস্তু হলো বিজ্ঞান, গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান। সাধারণ পাঠকদের কথা মাথায় রেখে রচিত সৌমেন সাহা এর বই সমগ্র খুব সহজ ও সাবলীলভাবে এই জটিল বিষয়গুলো উপস্থাপন করে। বিজ্ঞান বিষয়ক লেখালেখিতে আত্মমগ্ন এই লেখক বর্তমানে ঢাকার এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।