"কণা কোয়ান্টাম পরিচিতি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: বিংশ শতাব্দীতে পদার্থবিজ্ঞানে বড় ধরনের দুটি বিপ্লব ঘটে গেছে যার একটি কোয়ান্টাম তত্ত্ব এবং অপরটি আপেক্ষিকতার তত্ত্ব। তত্ত্ব দুটির কারণে পদার্থবিজ্ঞানে সম্পূর্ণ নতুন এক যুগের সূচনা হয়। আপেক্ষিকতার তত্ত্ব সময়ের দাবি ছিল। পক্ষান্তরে কোয়ান্টাম তত্ত্বের সূচনাটাকে একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বলা চলে। শতাব্দীর একেবারে শুরুতে ম্যাক্স প্ল্যাংক এবং আইনস্টাইনের হাত ধরে কোয়ান্টাম তত্ত্বের মূল ধারণা প্রকাশ পাওয়ার পর ক্রমেই এটি হয়ে ওঠে পারমাণবিক জগতকে ব্যাখ্যা করার একমাত্র হাতিয়ার । পরবর্তীতে একের পর এক পদার্থবিজ্ঞানীর কাজের মধ্য দিয়ে তত্ত্বটি একটি পূর্ণাঙ্গ শাখায় রূপ লাভ করে। এটা এখন আর একক কোনাে বিজ্ঞানীর একক কোনাে কাজের ফসল নয়। বহু প্রতিভাবান বিজ্ঞানীর মেধা আর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আজকের এই কোয়ান্টাম বলবিদ্যা । কোয়ান্টাম তত্ত্বের মৌলিক আলােচনা, পর্যায়ক্রমিক ইতিহাস, যৌক্তিক বিতর্ক ও প্রায়ােগিক দিকসহ কণা পদার্থবিদ্যার খুঁটিনাটি সকল কিছু এই বইয়ের আলােচ্য বিষয়। লেখকের মতে, কোয়ান্টাম জগতে উঁকি দেওয়ার প্রথম একটি মাধ্যম হতে পারে এই বই ।
জন্ম ঢাকার মানিকগঞ্জ জেলায়। মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত আছেন। এর পাশাপাশি সহজ-সরল ভাষায় বিজ্ঞানকে সকলের মাঝে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকটি বিজ্ঞান বই, লিখছেন বিভিন্ন বিজ্ঞান ম্যাগাজিনে। তাঁর অবসর সময়গুলো বরাদ্দ থাকে বই পাঠ এবং লেখালেখির জন্য। একটা সময় পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি আলাদা প্যাশন থাকলেও বিজ্ঞানে এখন তার বিশেষ আগ্রহের জায়গা হচ্ছে সেল এন্ড মলেকিউলার বায়োলজি, ইভল্যুশনারি বায়োলজি, জেনেটিক্স ও হিউম্যান নিউরোসায়েন্স। বিজ্ঞান ছাড়াও ইতিহাস, ধর্ম ও দর্শনে আগ্রহ রয়েছে ।