লেখকের কিছু কথা: মতির মালা একটি জীবনমুখী সমাজসচেতনতামূলক উপন্যাস। এ-উপন্যাসে একটি অশিক্ষিত গ্রামীণ সমাজের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের মেরুদণ্ড হল ৬৫ হাজার গ্রাম। এদেশের শহরগুলাের, চোখে পড়ার মতাে কিছু উন্নতি হলেও, গ্রামগুলাে এখনাে অন্ধকারেই রয়ে গেছে। গ্রামের মানুষ জীবনের মানে কী, তা জানে না। তাই তারা এখনাে অজ্ঞতা ও বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার নিয়ে বেঁচে আছে। কিছু কিছু কুসংস্কারকে তারা তাদের ধর্মগ্রন্থের বাণীই মনে করে থাকেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বর্তমানে কিছু দেশি-বিদেশি এনজিও ও সামাজিক সংগঠন কাজ করছে। কিন্তু তা প্রয়ােজনের তুলনায় খুবই সামান্য। আমাদের দেশের বেশিরভাগ হাসপাতাল ও ক্লিনিকই অনভিজ্ঞ ডাক্তার নার্স দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এখানে মানুষ রােগমুক্তির জন্য এসে, ডাক্তারের অব্যবস্থাপনার কারনে HIV/AIDS সহ অনেক অপ্রত্যাশিত রােগের জীবাণু বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন। এবং এসব মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে ধুকে ধুকে মারা যাচ্ছেন। মতির মালা’র ঘটনাটি কাল্পনিক হলেও, বাস্তবে এমন অনেক ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়। এসব দেখে আমার বিবেক কেঁদে ওঠে। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সমাজের মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে প্রকাশ করলাম ‘মতির মালা’ । এ বই পড়ে যদি একজন মানুষও সচেতন হয়, তা হলে আমার লেখা সার্থক হয়েছে বলে মনে করবাে। আমি বাংলার ছাত্র নই, তাই আমার লেখায় কোন ধরনের ব্যাকরণগত বা আচরণগত সমস্যা পরিলক্ষিত হলে, নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন। সুজন চৌধুরী