"লাইকের পৃথিবী কমেন্টের হৃদয় " বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: শহরের ক্লাবে চাকরি করে তেইশ বছরের এক যুবক। ক্লাবের দরজায় এলাকার এক চেয়ারম্যানকে আটকে দেয় সে। ঘটনা শুনে ক্লাবের স্যারেরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেদিন থেকেই তার নাম হয়ে গেল চেয়ারম্যান। গভীর রাতে চেয়ারম্যানের বন্ধু হয়ে আসে রহস্যময় মমীযা। হন্যে হয়ে মমীষা খুঁজছে তার ড্রাইভারকে। ফাজিল ড্রাইভার পালিয়ে গিয়ে যােগ দিয়েছে এক যাত্রাদলে। ফেসবুকে সে পােস্ট দিয়েছে—হ্যাং আউট উইথ মাই যাত্রাদল, লাভিং পৃথিবী। রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে মমীষার। অন্যদিকে বিশুদ্ধতম ভালােবাসা নিয়ে বাবার জন্য অপেক্ষা করে আছে পনেরাে বছরের মেয়ে রায়রা। জীবনকে ঘিরে থাকে চারপাশের ক্ষুদ্রতা, কঠিন বাস্তবতা। তারপরও এই পৃথিবীটা তাে আসলে লাইকের। দুঃখ পেয়ে হৃদয় হা-হা করে উঠলে, নিতান্ত অপরিচিত সান্ত্বনার বাণীও বড় প্রয়ােজন হয়ে পড়ে। জোছনার আলাে হয়ে ফুটে থাকে কমেন্টের হৃদয়। পরিচয়? গাঢ় স্বরে হাজতে চেয়ারম্যানের পাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকা লােকটি প্রশ্ন করল চেয়ারম্যানকে। চেয়ারম্যানের মুখে হাসির রেখা। সে বলল ‘পিপল ইউ মে নাে!'
আমার জন্ম ১২ ফেব্রুয়ারি । পরিষ্কার আকাশ । রবিবার । বিকাল ৩টা । বাংলাদেশের ঋতু-পরিক্রমায় সময়টা তখন বসন্ত।আমি যখন জন্ম নিয়েই গগন-বিদারী চিৎকারে জানান দিচ্ছি আমার অস্তিত্ব, ঠিক সেই মুহূর্তে পলাশ শিমুলের ডালে ওই ভয়ঙ্কর সুন্দর ফুল দেখে কার হৃদয় হাহাকারে ভরে উঠেছিল? সে কি কিছু লিখেছিল সেদিন? তাঁর চোখে কি ছিল দুই ফোঁটা জল? আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে।