লেখক নিজেই যেখানে বলছেন, এই বইয়ের নামই শুধু অখাদ্য নয়, এর বিষয়বস্তু ও সংকলিত প্রতিটি রচনাই অতি অখাদ্য- ফলে এটি কেনা না কেনার বিষয়ে সম্পূর্ণ দায় পাঠক বা ক্রেতার। এটি কোনাে রান্না বিষয়ক বইও নয়। এই বইয়ের মধ্যে কী ধরনের রচনা স্থান পেয়েছে, তা এক কথায় বলা মুশকিল। কোনাে লেখার কোনাে আগা-মাথা নেই। না ভ্রমণ-কাহিনি, না স্যাটায়ার, যাপিত জীবন, না আত্মকথন, না গল্প , না উপন্যাস, না প্রবন্ধ- তবে আক্ষরিক অর্থেই অখাদ্য। কিছু রচনার সমাবেশ এখানে সন্নিবেশিত রচনাবলির বেশিরভাগের গুণগত মান প্রকৃত অর্থেই অত্যন্ত খারাপ। এই কারণে। দেশের কোনাে সাহিত্য সম্পাদক এবং প্রকাশক কখনও সেগুলি ছাপাতে রাজি হননি। তবে প্রকাশনা সংস্থা জনান্তিক’-এর কর্ণধার সাম্য। আহমেদ অকুতােভয় চরিত্রের মানুষ। তিনি গরিব ও মেধাবী লেখকের মুখের দিকে তাকিয়ে এই অখাদ্য-জঞ্জাল প্রকাশ করে জীবনের সবচেয়ে বড়। ব্যবসায়িক ঝুঁকিটা নিয়েছেন। লেখক অবশ্য নিজের ফেসবুকে পেইজে বিভিন্ন সময়। কিছু কিছু লেখা প্রকাশ করেছিলেন। সবগুলিই ধারাবাহিকভাবে কম-বেশি ফ্লপ খেয়েছে। বন্ধু-বান্ধবরা দয়াপরবশ হয়ে ভালােবেসে মাঝে-মধ্যে হয়তাে সান্ত্বনামূলক কিছু লাইক আর কমেন্ট দিয়েছেন। ..তারপরও কারও বাড়িতে বইয়ের শেলফে বাড়তি কিছু জায়গা থেকে থাকলে, সেটি ভরানাের জন্যে। এই বই কেনা যেতে পারে। দামও যেহেতু বেশি না। প্রিয়জনকে উপহার হিসেবে ‘অখাদ্য’ নামক কোনাে বই দেওয়া ঠিক হবে কিনা, সেটি তর্কসাপেক্ষ। অবশ্য লেখকের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে তিনি হাসিমুখে অটোগ্রাফ দিতে এবং প্রয়ােজনে সেলফিও তুলতে রাজি আছেন।