সূচিপত্র: সুলতানা’স ড্রিম মূলঃ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, অনুবাদঃ তৌফিক সরকার অল সামার ইন এ ডে মূলঃ রে ব্রাডবেরী, অনুবাদঃ সুমিত শুভ্র আ সাউন্ড অফ থান্ডার মূলঃ রে ব্র্যাডবেরী, অনুবাদঃ কৌশিক জামান হেই কাম অন আউট! মূলঃ শিনিচি হোশি, অনুবাদঃ তৌফিক সরকার কন্সট্রাকশন শ্যাক মূলঃ ক্লিফোর্ড ডি সিমাক, অনুবাদঃ আশিকুর রহমান খান জিন ওয়ার্স মূলঃ পল জে. ম্যাকওলে, অনুবাদঃ আশিকুর রহমান খান ট্যানজেন্টস মূলঃ গ্রেগ বেয়ার, অনুবাদঃ আশিকুর রহমান খান দে আর মেইড আউট অব মিট মূলঃ টেরি বিসন, অনুবাদঃ সুমিত শুভ্র দ্য ইলেকট্রিক অ্যান্ট মূলঃ ফিলিপ কে ডিক, অনুবাদঃ তৌফিক সরকার দ্য পেডাস্ট্রিয়ান মূলঃ রে ব্রাডবেরী, অনুবাদঃ সুমিত শুভ্র দ্য স্টার মূলঃ আর্থার সি ক্লার্ক, অনুবাদঃ সানভী সালেহীন ফ্রম বিয়ন্ড মূলঃ এইচ পি লাভক্র্যাফট, অনুবাদঃ সুমিত শুভ্র মেশিন স্টপস মূলঃ ই. এম. ফ্রস্টার, অনুবাদঃ তৌফিক সরকার টু বি অর নট টু বি মূলঃ কার্ট ভনেগাট, অনুবাদঃ সুমিত শুভ্র
ভূমিকা সায়েন্স ফিকশন- শব্দটার সাথে পাঠকেরা পরিচিত হলেও বাংলা সাহিত্যে সায়েন্স ফিকশনের বিকাশ সেভাবে হয়নি। বিগত দেড়শ বছরে, বিশেষ করে ৮০’র দশকে এসে সায়েন্স ফিকশনের বিবর্তন হয়েছে অনেক দ্রুতগতিতে এবং বিভিন্ন শাখা প্রশাখা বিস্তৃত হয়েছে। জুল ভার্ন, এইচ জি ওয়েলস, আইজাক আসিমভ, স্যার আর্থার সি ক্লার্ক আর ফিলিপ কে ডিক এর দেখানো পথ ধরে আরও অনেক লেখক কল্পবিজ্ঞানের হরেক রকম পথে এগিয়েছেন আর পাঠকদের কাছে পৌছে দিয়েছেন বিজ্ঞানের সুফল, কুফল নিয়ে লেখা হাজারো গল্প। তবে সময় পরিভ্রমণ, ভিনগ্রহের প্রাণি, রোবট অথবা ক্লোন –এই চক্রের বাইরে আসতে পারছে না বাংলা সাহিত্যের সায়েন্স ফিকশনগুলো; যেখানে একবিংশ শতাব্দিতে এসে সায়েন্স ফিকশনের রয়েছে অনেকগুলো মূল ধারাঃ হার্ড সায়েন্স ফিকশন, সাইবার পাঙ্ক, স্টিম পাঙ্ক, বায়ো পাঙ্ক, কাল্ট সাইফাই এবং আরও অনেক কিছু। এবং সব গল্পেই যে শেষটা মানবজাতির জন্য ভালো হবে তা নয়। তাই মূল ধারার বিদেশী লেখদের বাদ দিয়ে আরও যে অনেক লেখক আছেন, তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়াসেই এই প্রজেক্ট- সায়েন্স ফিকশন মাস্টারওয়ার্কস। এই বইয়ের প্রতিটি গল্প খুব বেছে বেছে সায়েন্স ফিকশনের বিভিন্ন জনরা থেকে নেয়া হয়েছে। আমেরিকান, ব্রিটিশ, রাশিয়ান এর পাশাপাশি জাপানীজ সায়েন্স ফিকশনগুলোও আজ জনপ্রিয় বিশ্বজুড়ে। সবচেয়ে বড় চমক হলো, আমরা অনুবাদকেরা যখন সোলার পাঙ্ক নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিলাম, তখন আবিস্কার করলাম, বিংশ শতাব্দির সর্বপ্রথম সোলার পাঙ্ক সায়েন্স ফিকশন লিখেছিলেন মহয়সি বাঙালী নারী- বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন! তার গল্প ‘সুলতানা’স ড্রিম’, এ রয়েছে প্রচুর ভবিষ্যতের প্রযুক্তির বর্ণনা, আধুনিক সায়েন্স ফিকশনের ধারায় যাকে সোলার পাঙ্ক-এর কাতারে ফেলা যায়। তাই এই সমগ্রের প্রথম গল্পটিই তাঁর। এছাড়াও রয়েছে আরও ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন জনরার গল্প এবং এই লেখকেরাও সায়েন্স ফিকশন জগতে নামকরা ব্যাক্তিত্ব।
এই সমগ্রের প্রতিটি অনুবাদকেরই রয়েছে সায়েন্স ফিকশনের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। আর বিদেশী সায়েন্স ফিকশন গল্পের অনুবাদ প্রায় হারিয়ে যাওয়ার দশা দেখেই সবাই একটু নড়েচড়ে বসেছে এবং সায়েন্স ফিকশন জগতের জনপ্রিয় লেখকদের গল্পগুলো অনুবাদ করা শুরু করেছে। পাঠকদের অবশ্যই একটা চাহিদা আছে আর সায়েন্স ফিকশনের প্রতি প্রচুর পাঠকের একটা দূর্বলতা রয়েছে। সেই চাহিদা কে পূরণ করার জন্যই ‘সায়েন্স ফিকশন মাস্টারওয়ার্ক্স’। আশা করি ভবিষ্যতে আরও সমগ্র বের করা হবে এবং পাঠকের আসা পূরণ করা হবে।