‘কষ্টিপাথর’ বইটির ভূমিকাঃ - আপনারা কি নাস্তিক গুরুদের মতবাদ থেকে বেরিয়ে মুক্তভাবে চিন্তা করতে প্রস্তুত আছেন? - যে বিজ্ঞানকে সত্যের মাপকাঠি ধরেছেন, সেই বিজ্ঞান যদি ১৪০০ বছর আগের কোনো জীবনধারা, কোনো মতবাদকে সত্যয়ন করে তা কি মেনে নিতে তৈরি আছেন? - নাকি আপনারা কিছুই মানেন না? শুধু যেটুকু খায়েশের সাথে মেলে আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের সেটুকুই নেবেন? যতক্ষণ মনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে ততক্ষণ মুক্তচিন্তা করবেন? যতক্ষণ বিজ্ঞান আপাতভাবে ইসলামের বিপক্ষে বলছে ততক্ষণ বিজ্ঞানের সাথে আছেন, আর পক্ষে কিছু প্রমাণ হয়ে গেলেই বিজ্ঞানকেও চেনেন না। তাই কি? এই পুরো বইয়ে আমার নিজের কথা খুবই কম। রেফারেন্স, জার্নাল ও গবেষকের যোগ্যতাসহ দিয়েছি। কেউ খণ্ডন করতে চাইলে • রেফারেন্স খণ্ডন করতে চাইলে, কোন গবেষণাকে ভুয়া প্রমাণ করতে চাইলে ঐ গবেষক টিমের ন্যূনতম যোগ্যতাসম্পন্ন গবেষকের সমস্তরের যোগ্যতা লাগবে। • কিছু জায়গায় রেফারেন্সের ভিত্তিতে আমার অর্জিত চিকিৎসাবিদ্যার আলোকে আমার ব্যক্তিগত উপলদ্ধি-অনুধাবনের উল্লেখ আছে, সেখানে বলেও দেয়া আছে যে, এটা আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি-অনুধাবন। সেগুলো আবার একজন এসোসিয়েট প্রফেসর সম্পাদনাও করেছেন। যেহেতু পুরো বইটাই স্বাস্থ্যবিষয়ক, তাই সেগুলো খণ্ডনকারী কমপক্ষে এমবিবিএস ডিগ্রীধারী না হলে একটু কেমন যেন হয়ে যায়। যাহোক, বিজ্ঞানীরা আজ যা আবিষ্কার করছে তা ১৪০০ বছর আগে একজন প্র্যাকটিস করে গেছেন, তাঁর প্রকৃত অনুসারীরা ১৪০০ বছর ধরে প্র্যাকটিস করছেন— ব্যাপারটা মেনে নেয়া একটু কষ্টের আপনাদের জন্য। আলোচনা আজ এটা নিয়েই, যে বিজ্ঞানকে আপনারা মেনে চলেন তা কত পশ্চাৎপদ আর যে সুন্নাত আমরা মানি তা কতটা আধুনিক, যুগোত্তীর্ণ, কালোত্তীর্ণ। আজ ঘষবো বিজ্ঞানকে, সুন্নাত হলো সেই ‘কষ্টিপাথর । সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। শামসুল আরেফীন ৩১ জানুয়ারী ২০১৮, ঢাকা https://www.fb.com/shamsul.shakti সূচিপত্রঃ কেন লিখলাম ১৭ কেন পড়বেন ২১ ১. দূর্গের বাইরে পরিখা ২৫ ২. ডিওডোরেন্ট ৩. সিন্ধুঘোটকনামা ৪. লেফট-রাইট ৫. বামপন্থা ৬. And Miles to Go Before I Sleep ৪১ ৭. স্বপ্ন দেখুন, স্বপ্ন দেখান ৪৫ ৮. বপু-তনু ৪৬ ৯. প্যাকেট ৪৮ ১০. দুনিয়া ঠাণ্ডা ৫৭ ১১. বাড়িয়ে দিন কাপড়ের দাম ৫৮ ১২. হেডকোয়ার্টারের জলছাদ ৬২ ১৩. প্রাগৈতিহাসিক ৬৭ ১৪. গবাদিকরণ ৭৩ ১৫. সমতলাধিকার ৭৬ ১৬. আনন্দ ভাগ করলে বাড়ে ৭৮ ১৭. আজ চুলা বন্ধ ৭৯ ১৮. কুছ মিঠা হো জায়ে ৮১ ১৯. মাছিমারা কেরানি ৮৫ ২০. ভোগে নয়, ত্যাগেই। তবে... ৮৭ ২১. আবারও বাম ৯১ ২২. মুতাতহহিরীন ৯২ ২৩. যাহ! সব মাটি ৯৬ ২৪. হাত ধোয়ার জন্যও দিবস? ১০১ ২৫. জীবনের অপর নাম পানি সুন্নাত: প্রিভেনটিভ মেডিসিন ২৬. কই মোটা, একটু স্বাস্থ্য ভাল ২৭. মাতাল ধোঁয়া ১১৫ ২৮. বিনাশ্রম দণ্ড ১২৭ ২৯. আঁশেই আশা ১২৯ ৩০. রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন ১৩১ রোগীর জন্য ১৩৪ ডাক্তার সাহেব ও রোগীর সেবাদানকারীদের জন্য ১৩৫ কাকতালীয় ১৩৭ প্রলাপ ১৪২ ক. জায়েয, না সুন্নাত? খ. বড় সুন্নাত রেখে ছোট সুন্নাত? গ. আল্লাহর প্রতি এবং নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন? ঘ. শুধু ছোট সুন্নাত, তাহলে বড়গুলো? ঙ. বিজ্ঞান ও সুন্নাতের পার্থক্য – সম্পর্ক চ. সুন্নাতের গুরুত্ব সম্পর্কে বিদায়বেলা ১৬৫
বাংলাদেশের জনগণের বেশিরভাগই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী, আর সংখ্যাগরিষ্ঠ এই মুসলিম জনগোষ্ঠীর নিজেদের ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ে সম্যক জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজন হয় নানাবিধ পড়াশোনার। আর বিস্তৃত এই পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে ইসলামের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে গবেষণা ও আলোচনা নিয়ে এবং বিভিন্ন ইসলামি আদর্শ ও মতবাদমূলক বই রচনা করে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন ডা. শামসুল আরেফীন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবী হলেও একজন মুসলমান হিসেবে ইসলামি আদর্শে বলীয়ান হয়ে তিনি রচনা করেছেন বেশ কিছু ইসলাম সম্পর্কিত বই, যেগুলোর কোনোটি রচিত হয়েছে গল্পের আকারে, আবার কোনোটি রচিত হয়েছে প্রবন্ধ হিসেবে। ইসলাম বিষয়ক এই লেখক জন্মগ্রহণ করেন ১৯৮৯ সালে। সাদামাটাভাবে জীবন পার করা শামসুল আরেফীন শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেছেন ক্যাডেট কলেজে। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ থেকে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ডা. শামসুল আরেফীন এর বই এদেশীয় মুসলমানদের মাঝে লাভ করেছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। ডা. শামসুল আরেফীন এর বই সমূহ-তে ইসলামি মতবাদ ও আদর্শ প্রকাশের পাশাপাশি ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, এবং ইসলামের বিরুদ্ধে আসা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন বিষয়ের ইসলামি ব্যাখ্যা ও ইসলামি উপায়ে চলার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিধানও উঠে এসেছে তাঁর বইগুলোতে। ডা. শামসুল আরেফীন এর বই সমগ্র এর মাঝে 'কষ্টিপাথর', 'ডাবল স্ট্যান্ডার্ড', 'মানসাঙ্ক' ইত্যাদি অন্যতম। মানুষকে দিনের শেষে সৃষ্টিকর্তার দেয়া সমাধানের পথেই ফিরে আসতে হবে- এ কথাই ফুটে ওঠে তার রচিত বইগুলোতে।