"সেরা সায়েন্স ফিকশন "বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: সায়েন্স ফিকশন মনে সাধারণ অর্থে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী । সায়েন্স ফিকশনের আদি লেখক জুলভার্ন অবশ্য যেসব কাহিনী লিখে গেছেন। সেগুলাে কালক্রমে কল্পকাহিনীর তুলনায় বাস্তবসম্মত হয়েছে বেশি। তিনি পানির নিচে চলা জাহাজের কথা লিখেছেন- পরবর্তীতে আবিস্কৃত হয়েছে জুবােজাহাজ বা সাবমেরিন । বর্তমানে এমন ডুবােজাহাজ আবিস্কৃত হয়েছে যা কিনা বরফের নিচে দীর্ঘদিন থাকতে পারে প্রয়ােজনীয় রসদ সহযােগে। সুতরাং এই অর্থে সাযেন্স ফিকশন আজ আর নিছক কল্পগাঁথার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সায়েন্স ফিকশন আসলে কথা বলে ভবিষ্যতের। কথা বলে আধুনিক বিজ্ঞানের । আমাদের প্রচলিত বাংলা সাহিত্যে সায়েন্স ফিকশনের জগতটা খুব বেশি প্রশস্ত নয়। হাতে গােণা কয়েকজন এই বিষয় নিয়ে লিখছেন। তাঁদের মধ্যে সুখপাঠ্য বা এক নিঃশ্বাসে পড়া যায় এমন ধরনের লেখার তালিকার শীর্ষে রয়েছেন শ্রদ্ধেয় স্যার মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এছাড়া কয়েকজন হাতে গােণা প্রথিতজশা লেখকের লেখায় সমৃদ্ধ আমাদের সায়েন্স ফিকশন সাম্রাজ্য। এই বইতে কয়েকজন লেখকের লেখা কয়েকটি গল্পকে নিজস্ব আঙ্গিকে সাজিয়ে গুছিয়ে পাঠকবর্গের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। মূল গল্পগুলাে পড়ার সময় আমি কখনও আবেগে আপ্লুত হয়েছি। আবার কখনও হতভম্বের মতাে বসে ভেবেছি ঘটনাটা কী ভাবে ঘটলাে? আমার এই অনুভূতিগুলাে পাঠকদের সাথে ভাগাভাগি করে নেবার উদ্দেশ্যেই এই বইয়ের সূত্রপাত। আশা করছি পাঠকবর্গের কাছে গল্পগুলাে ভাল লাগার তালিকায় উতরে যাবে। বইটি লেখার সময় ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটের উপর নির্ভর করতে হয়েছে। বিভিন্ন সাইট থেকে লেখার উপকরণ খুঁজে বের করা হয়েছে। ভুলাে মনের কারণে সেসব সাইটের নাম-ঠিকানা এখানে উল্লেখ করতে পারছি না। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। তবে আমার উদ্দেশ্য পাঠকদের তৃপ্তি লাভ। এই হিসেবে যদি সামান্যতম তৃপ্তির ছিটেফোঁটাও কপালে জোটে- সেটুকুই হবে আমার সবচেয়ে অন্যতম পাওনা।