প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ (ক) পৃথিবীতে এমন অবিশ্বাস্যকিছু ঘটছে যা আমরা বিশ্বাস করতে চাই না, অথছ বিশ্বাস করছি, কারণ চোখের সামনেই ঘটছে সবকিছু। কী ব্যাখ্যা অবিশ্বাস্য এই ঘটনার- জানতে পড়ুন প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস। (খ) কিছু কিছু মানুষ কী সত্যি অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার অধিকারী? যদি না হয় তাহলে কীভাবে তারা অতিপ্রাকৃত ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে? ব্যখ্যা পেতে পড়ুন প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস। (গ) হয়তো আমাদের পাশেই কেউ একজন আছে, যার অলৌকিক ক্ষমতা সম্পর্কে আমরা জানি না, বুঝতে পারি না। অচেনা অজানা এই মানুষদের চিনতে জানতে পড়ুন প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস। "প্যারাসাইকোলজি- ছায়াস্বর্গ বইটির কিছু তথ্যঃ" (১) ইলা অনুভব করে তার কাছে আসতে চাইছে ইমন, তার প্রিয় ইমন, যাকে সে কখনো দেখিনি, যার কথাও কোনোদিন বাস্তবে শুনেনি। অথচ ইমন আসছে, ছায়া হয়ে আসছে, কথা বলছে, তারপর আবার চলে যাচ্ছে। ভালোলাগা, ভালোবাসার অচেনা অজানা দুজ মানুষ অনেক দূরে থেকেও কীভাবে নিজেদের ভাবের আদান প্রদান করছে, একজন অন্যজনকে অনুভব করছে - জানতে পড়ুন ছায়াস্বর্গ। (২) জোছনা রাতে সবার ছায়া থাকে একটি, কিন্তু ইলার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তার ছায়া হয় দুটি। তাও একটি নারীর, আর দ্বিতীয়টি পুরুষের। কীভাবে সম্ভব, জানতে পড়ুন ছায়াস্বর্গ। বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখাঃ জোছনারাতে মানুষের একটি ছায়া থাকে। কিন্তু ইলার ক্ষেত্রে বিষয়টি ব্যতিক্রম। জোছনারাতে ইলার থাকে দুটি ছায়া। তাও একটি পুরুষের এবং একটি নারীর। ইলার এই দুই ছায়ার রহস্য উন্মােচনের জন্য ডাক্তার তরফদারের দ্বারস্থ হন। ইলার হতবিহ্বল বাবা-মা। পুরুষ ছায়ার উৎস খুঁজতে গিয়ে ডাক্তার তরফদার ইমন নামের এক যুবকের সন্ধান পান। এই যুবক জোছনারাতে ছায়া হয়ে ইলার কাছে আসে, ইলাকে সম্মােহিত করে এবং ফিসফিস করে কথা বলে। অথচ বাস্তবে ইমনের সাথে ইলার কীভাবে পরিচয় হয়েছে, নাকি আদৌ হয়নি, তা ইলা বলতে পারে না। এদিকে ইলার জীবনে ইমনের উপস্থিতির তথ্য প্রকাশ হলে ইলার বিয়ে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। অবশ্য সেদিকে ইলার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তার ইচ্ছে ইমনের কাছে যাওয়া, ইমনকে কাছে পাওয়া। কিন্তু ইমনের ঠিকানা সে জানে না, ইমনকে। চেনেও না। জোছনারাতে সে শুধু ইমনের কালাে ছায়া দেখেছে। তারপরও সে ঘর ছাড়ে। ইমন যেখানেই থাকুক না। কেন, তাকে সে খুজে বের করবে। এদিকে ইলাকে খুজতে। গিয়ে ডাক্তার তরফদার সন্ধান পান ছায়াস্বর্গের। এই ছায়াস্বর্গেরই মােহে মােহান্বিত হয়ে ঘর ছেড়েছে ইলা। এই। মােহ থেকে ইলাকে কিছুতেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এখানে আছে ইলার প্রিয়, অতিপ্রিয় ইমন। আর আছে। অদ্ভুত আর অদ্বিতীয় ছায়ালেবু, যা কি না ইলাকে এক ঐশ্বরিক ক্ষমতা দিয়েছে। এই ক্ষমতার বলে ইলা এখন। রহস্যময়ী স্বর্গীয় অপরূপা এক নারী। কী এই ছায়াস্বর্গ? কীভাবে সাধারণ ইলাকে এই ছায়াস্বর্গ এক স্বর্গীয় নারীতে রূপান্তরিত করেছিল? আর দুই ছায়ার উৎসই-বা কী ছিল? আর কী ঘটেছিল ইমন আর ইলার জীবনে? তাদের সম্পর্কের শেষ পরিণতিই-বা কী হয়েছিল?
লেখক মোশতাক আহমেদ এর জন্ম ১৯৭৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ফরিদপুর জেলায়। পেশায় একজন চাকুরিজীবী হওয়া সত্ত্বেও লেখালেখির প্রতি তাঁর আগ্রহ প্রচুর। এ পর্যন্ত সায়েন্স ফিকশন নিয়েই সবচেয়ে বেশি লিখেছেন। বাংলা সায়েন্স ফিকশন জগতে তার পোক্ত একটি অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও মোশতাক আহমেদ এর বই সমূহ ভৌতিক, প্যারাসাইকোলজি, মুক্তিযুদ্ধ, কিশোর ক্ল্যাসিক, ভ্রমণ ইত্যাদি জঁনরাতে বিভক্ত। যেকোনো একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতেই পছন্দ করেন। মোশতাক আহমেদ এর বই সমগ্র সংখ্যায় পঞ্চাশ পেরিয়েছে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই ছিল ‘জকি’। এটি একটি জীবনধর্মী উপন্যাস। ২০০৫ সালে এটি প্রকাশিত হয়। মোশতাক আহমেদ পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথমে ফার্মেসি বিভাগে, পরে আইবিএতে। পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপরাধবিজ্ঞান থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। পড়াশোনার খাতিরেই হোক বা কর্মজীবনের তাগিদেই হোক, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অনেক ভ্রমণ করেছেন। সেসব ভ্রমণকাহিনীর আশ্রয়ে তাই ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর লেখা ভ্রমণকাহিনীগুলোও। তাঁর সৃজনশীল কর্মকাণ্ড শুধু লেখালেখিতেই গণ্ডিবদ্ধ নয়। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাজারবাগের পুলিশ ও পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর মধ্যে একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। সে ঘটনার ওপর ভিত্তি করে মোশতাক আহমেদ ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। এটি ২০১৩ সালের মার্চ মাসে মুক্তি পায়। তাঁর পুরস্কারের ঝুলিতে এ পর্যন্ত রয়েছে ২০১৩ সালের কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৪ সালের ছোটদের মেলা সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৪ সালের কৃষ্ণকলি সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৫ সালের সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার এবং সর্বশেষ সংযুক্তি হিসেবে সায়েন্স ফিকশন বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭।