“ঔষধি গাছ (১ম খণ্ড)" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ বাংলাদেশে ঔষধি গাছের ভাণ্ডারটি বেশ সমৃদ্ধ। এ দেশের বনে জঙ্গলে ও জমিতে অন্তত সাড়ে পাঁচশাে প্রজাতির গাছ রয়েছে যেগুলাে ঔষধি গাছ হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন রােগের চিকিৎসা করা যায় বা রােগ প্রতিরােধ করা যায়। সেই বিশাল অমৃত ভাণ্ডার থেকে লেখক মৃত্যুঞ্জয় রায় ২০টি ঔষধি গাছ সম্পর্কে ঔষধি গাছ’ বইয়ের প্রথম খণ্ডে বর্ণনা করেছেন। এসব গাছ আমাদের খুব চেনা, আমাদের আশেপাশে তাকালেই ওদের দেখতে পাই। কিন্তু ওসব গাছের মহাশক্তি সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই কোনাে ধারণা নেই। লেখক অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় বিভিন্ন গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে সেসব গাছের ভেষজ গুণ ও চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্যবহুল আলােচনা করেছেন। গাছগুলাে চেনার জন্য রঙিন ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। আশা করি পাঠকরা এসব ছবির সাহায্যে গাছগুলােকে ভালাে করে চিনতে পারবেন ও গাছগুলাের ভেষজ গুণকে কাজে লাগিয়ে সুস্থ থাকার প্রয়াস করতে পারবেন। দীর্ঘদিন ধরে লেখকের ঔষধি গাছ সম্পর্কে লেখাগুলাে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যারা সেগুলাে সংগ্রহে রাখতে পারেননি, এ বইয়ে সে-লেখাগুলাের সংকলন একত্রে পাবেন।
কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায় প্রায় তিন দশক ধরে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় লিখছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে এম.এসসি.এজি (উদ্যানতত্ত্ব) ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগতভাবে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে। সর্বশেষ অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রয়েছে কৃষিক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সুদীর্ঘ বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ফসল উৎপাদনের বিশেষ পারদর্শীতা, শিক্ষকতা ও প্রশিক্ষণের দক্ষতা। এর ওপর ভিত্তি করে তিনি লিখেছেন ‘বাংলাদেশের অর্থকরী ফসল’ বইটি।। কৃষি বিষয়ে তিনি ইতােমধ্যে অনেকগুলাে বই লিখেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর লেখা ৮৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে যার মধ্যে ৬২টি বই কৃষি বিষয়ক। কৃষি বিষয়ক লেখালেখির জন্য তিনি ২০১২ সালে পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশ একাডেমী অব এগ্রিকালচার স্বর্ণপদক।