"দ্য ব্রিজ অন দ্য দ্রিনা (ওয়াল্ড ক্লাসিক)" ফ্ল্যাপে লেখা কথা: আইভাে অ্যানড্রিচ সার্বিয়ার নােবেল বিজয়ী খ্যাতনামা কথা সাহিত্যিক। ১৯৬১ সালে তিনি সাহিত্যে নােবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৮৯২ সালে বসনিয়ার ট্রাভানিকে অত্যন্ত দরিদ্র এক ক্রোয়েশিয় পরিবারে তাঁর জন্ম। সারায়েভােতে মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশনা করার সময় তিনি জাতীয়তাবাদী বিপ্লবীতে পরিণত হন। ১৯১৪ সালে অষ্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্চডিউক ফার্ডিন্যান্ডের স্বস্ত্রীক সারায়েভাে সফরকালে বিপ্লবীদের নিক্ষিপ্ত বােমায় তারা নিহত হন এবং এ চক্রান্তে আইভাে অ্যানড্রিচও জড়িত ছিলেন বলে অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান কর্তৃপক্ষ আরও অনেকের সাথে তাকেও গ্রেফতার করে। তিন বছর অষ্ট্রিয়ার বন্দি শিবিরে কাটানাের পর এক সাধারণ ক্ষমার আওতায় তিনি ১৯১৭ সালে মুক্তি পান এবং পুনরায় শিক্ষাজীবনে ফিরে এসে ১৯২৪ সালে গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। যুগােশ্লাভিয়ার কূটনৈতিক সার্ভিসে যােগ দিয়ে তিনি ১৯২৪ ও ১৯৪১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ইউরােপের বেশকিছু দেশের রাজধানীতে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪১ সালে বার্লিনে যুগােস্লাভিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জার্মানি যুগােস্লাভিয়ায় অভিযান চালায় এবং যুগােস্লাভ সরকার ভেঙে গেলে তিনি বেলগ্রেডে চলে আসেন। তিনি লেখার কাজে আত্মনিয়ােগ করেন এবং তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘না দ্রিনি কুপরিজা' রচনা করেন, যা ১৯৪৫ সালে সাবো-ক্রোট ভাষায় এবং ১৯৫৯ সালে ইংরেজিতে অনূদিত হয়ে ‘দ্য ব্রিজ অন দ্য দ্রিনা' নামে প্রকাশিত হয়। এ সময়ে আরও কয়েকটি উপন্যাস রচনা করেন তিনি। তাঁর উপন্যাসগুলাে প্রকাশিত হলে তিনি যুগােভিয়ার শীর্ষ সাহিত্যিক হিসেবে স্বীকৃত হন। তার অধিকাংশ রচনা ইতিহাস ভিত্তিক এবং ‘দ্য ব্রিজ অন দ্য দ্রিনা’ উপন্যাসে অটোম্যান শাসনামলে ভিসেগ্রাদে দিনা নদীর ওপর নির্মিত একটি সেঁতুকে কেন্দ্র করে তিনি তিনশাে বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস, মানুষের জীবন ধারাকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ১৯৭৫ সালে আইভাে অ্যানড্রিচ মৃত্যুবরণ করেন।
আইভাে অ্যানড্রিচ সার্বিয়ার নােবেল বিজয়ী খ্যাতনামা কথা সাহিত্যিক। ১৯৬১ সালে তিনি সাহিত্যে নােবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৮৯২ সালে বসনিয়ার ট্রাভানিকে অত্যন্ত দরিদ্র এক ক্রোয়েশিয় পরিবারে তাঁর জন্ম। যুগােশ্লাভিয়ার কূটনৈতিক সার্ভিসে যােগ দিয়ে তিনি ১৯২৪ ও ১৯৪১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ইউরােপের বেশকিছু দেশের রাজধানীতে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪১ সালে বার্লিনে যুগােস্লাভিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জার্মানি যুগােস্লাভিয়ায় অভিযান চালায় এবং যুগােস্লাভ সরকার ভেঙে গেলে তিনি বেলগ্রেডে চলে আসেন। তিনি লেখার কাজে আত্মনিয়ােগ করেন এবং তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘না দ্রিনি কুপরিজা' রচনা করেন, যা ১৯৪৫ সালে সাবো-ক্রোট ভাষায় এবং ১৯৫৯ সালে ইংরেজিতে অনূদিত হয়ে ‘দ্য ব্রিজ অন দ্য দ্রিনা' নামে প্রকাশিত হয়। এ সময়ে আরও কয়েকটি উপন্যাস রচনা করেন তিনি। তাঁর উপন্যাসগুলাে প্রকাশিত হলে তিনি যুগােভিয়ার শীর্ষ সাহিত্যিক হিসেবে স্বীকৃত হন। তার অধিকাংশ রচনা ইতিহাস ভিত্তিক এবং ‘দ্য ব্রিজ অন দ্য দ্রিনা’ উপন্যাসে অটোম্যান শাসনামলে ভিসেগ্রাদে দিনা নদীর ওপর নির্মিত একটি সেঁতুকে কেন্দ্র করে তিনি তিনশাে বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস, মানুষের জীবন ধারাকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ১৯৭৫ সালে আইভাে অ্যানড্রিচ মৃত্যুবরণ করেন।