বোয়িং ৭৮৭ চেপে মঙ্গোলিয়া যাচ্ছিল রনি ও সজীব। ত্রিশ হাজার ফুট উচ্চতায় হঠাৎ উড়োযানের ফুয়েলট্যাংক চুঁইয়ে হাইড্রোকার্বন হাওয়া! ফলে যাত্রীদের জান বাঁচাতে জরুরি অবতরণ। একরকম বাধ্য হয়ে উলান বাটরের বদলে জাপানের কানসাই এয়ারপোর্টে হামা দেয় রনিদের বিমান। ওরা মরতে মরতে বেঁচে যায়। ওরা রাতের মতো হোটেল বোনান্জায় ওঠে। সেখানেই আচমকা কিডন্যাপ্ড হয় দুই বাঙালি কিশোর। কানটুপিঅলা একজনÑ নিমকু কেন ওদের তুলে নিয়ে কিরি হোটেলে তুলল ওরা জানে না, রনির কিটব্যাগে সে ঢুকিয়ে দেয় ঝা চকচকে এক ধাতব কৌটো। কেড়ে নেয় ওদের পাসপোর্ট। কৌটোর গায়ে লেবেল- ‘জারবোয়া অয়েল’। দুষ্প্রাপ্য জিনিস, এতে নাকি পাগলামি সারে! হোটেল কিরিতেই আলাপ হয় জাপানি মেয়ে তুসকানা রুশি ওরফে তুবার সাথে। বলল, কিরি মানে কুয়াশা। তোমরা এক দুর্ধর্ষ স্মাগলারের পাল্লায় পড়েছ। এর খবর আমি পত্রিকায় পড়েছি। বানজারা হোটেলে খেতে গিয়ে ইন্ডিয়ান কিশোর আকাশের দেখা মেলে। পাসপোর্ট নেই, তাই ওরা এখন নিমকুর হাতের পুতুল। তার গ্যাং ওদের দিয়ে একের পর এক অপরাধ ঘটাতে থাকে। ক্রমশ ওরা জড়িয়ে যায় গভীর চক্রান্তের জালে। পুলিশে রিপোর্ট করবে! তুবা বলল, উঁহু, পুলিশ ধরে নেবে তোমরা নিমকুর গুপ্তচর। সোজা জেলে ঢুকিয়ে দেবে! তাহলে উপায়? হঠাৎ মধ্যরাতে কিরি হোটেলে রেইড দেয় কানসাই পুলিশ। কিন্তু তার আগেই নিমকু ও তার সাগরেদ জারবোয়া তেলের কৌটোসমেত হাওয়া। তারপর .....?