"শয়তান" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: চামচিকা টাইপের একটা ভূত নাকি প্রায়ই খাটের চিপায় বসে থাকে। ফিসফিস করে মেয়েলি কণ্ঠে কথা বলে। নুহেল ইদানীং এই ব্যাপার নিয়ে বেশ ব্যস্ত। যে করেই হােক ভূতটাকে বােতলবন্দী করতে হবে। নইলে সামনে ঘােরতর অমঙ্গল। মৃত্যুযােগ আছে বলেও তার ধারণা। তবে মৃত্যুটা কার হবে বা কিভাবে হবে এই বিষয়ে সে নিশ্চিত নয়। নুহেলের ধারণা সে ভয়াবহ পাপী মানুষ। ধর্মকর্মের ধারে-কাছে নেই। তার পুরাে নাম সােলায়মান পাটোয়ারী। নুহেল তার মূল নাম নয়। বলা যায় আগাছা নাম। এই বাড়িতেও সে আগাছা। সম্ভবত এ কারণেই এই বাড়িতে আসার পর ইবু তাকে এই নাম দিয়েছে।
কানার কূটবুদ্ধির অভাব নেই। তবে নুহেল নামের অর্থ কী? তা জানা হয়নি। একদিন ইবুকে অর্থটা জিজ্ঞেস করতে হবে। পাপী মানুষের মৃত্যু নাকি সহজে হয় না। সে অর্থে ভূত-প্রেত দ্বারা তার মৃত্যুযােগ নেই। তারপরও ভূতটাকে যে করেই হােক খেদাতে হবে। বেটা বদমাশ। চড়িয়ে চাপার দাঁত ভেঙে দেয়া দরকার। গভীর রাতে হঠাৎ ঘুম ভাঙলে দেখা যায় ফিসফিস করে কী যেন বলছে। একদিন মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু সেদিনই নুহেল নিশ্চিত হলাে এটা মেয়েভূত। সম্ভবত পিচকা টাইপের পরী। বজ্জাতের হাড্ডি হবার সম্ভবনাই বেশি। ভয়টা সেখানেই। কারণ তার চেহারা-সুরত বেশ ভালাে। ভালাে চেহারার পােলাগাে ওপর পরীদের বিশেষ আকর্ষণ থাকে। ভূতটা যেহেতু মেয়েলি কণ্ঠে কথা বলে তাই ওটা পেত্নীও হতে পারে। পরী হলে তাও মেনে নেয়া যায়। কিন্তু পেত্নী হলে বিপদ আরাে বেশি। এরা মানুষ মারে একটা বিশেষ পদ্ধতিতে। গলার নলী চেপে আলাজিহ্বা টেনে ছিড়ে খায়। কী ভয়াবহ!
Ahmed Faruq নিজেকে সুখী মানুষ ভাবতে ভালোবাসেন। লেখেন ইচ্ছে হলে, ইচ্ছে না হলে কিছুই লেখেন না। স্বপ্ন দেখেন “লাইটহাউজ” নামক এক মিলনকেন্দ্রের। যেখানে কিছু নিঃস্ব মানুষের গল্প লেখা হবে। ছোটবড় মিলে বই লিখেছেন ২৭। ছোটগল্প লিখেছেন সবচেয়ে বেশি। ‘কাক” তার লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পগ্রন্থ। এ ছাড়াও লিখেছেন উপন্যাস, গল্প এবং নাটক। প্রচারবিমুখ নিভৃতচারী এই কথাসাহিত্যকের জন্ম ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে পুরোদমে লেখালেখি আর প্রকাশনার সাথে যুক্ত। বাবা মরহুম সামছুল হক ছিলেন কৃষিবিদ। মা ফাতেমা খাতুন, স্ত্রী জেবা, মেয়ে নাবা এবং পুত্র অবনীলকে নিয়েই তার যাপিত জীবন।