“প্রণয়ে পরিণত বিরহের গান” কাব্যগ্রন্থটি কোনো দিগন্তজোড়া খ্যাতনামা লেখকের কলমের আঁচড় নয় বরং একজন নবীন কবির অনবদ্য প্রয়াস। তারুণ্যের সৃষ্টিশীলতা আর মননশীলতার এক চূড়ান্ত রূপ উপস্থাপিত হয়েছে গ্রন্থটির প্রতিটি বাঁকে। যৌবনের অদম্য ভালোবাসার অমৃত পানে আসক্ত কবি বিরহকেই বেছে নিয়েছেন ভালোবাসাকে পরিপূর্ণতা দেওয়ার অভিলাষে। ভালোবাসার আকুলতা এবং ভালোবেসে আকুলতাÑ উভয়ই কবির ছোঁয়ায় দিবালোকের মতোই জীবন্ত আর ফুটফুটে। প্রিয়তমাহীনতায় দৈন্য কবি তবুও ভালোবাসাহীনতায় ভোগেননি, কার্পণ্য করেননি ভালোবাসার বুকে মাথা রেখে স্বপ্নে বিভোর হতে। পাশাপাশি সমসাময়িক সমাজ ব্যবস্থায় প্রচলিত জীবনাচরণে কবি তুলে ধরেছেন নিজের একান্ত ব্যক্তিগত অভিমত। জীবন নাটকে মঞ্চায়িত পর্বগুলো কখনো কখনো কবিকে নাড়া দিয়েছে শত আবেগের সহাবস্থানে, কখনো বা করেছে অভিমানে জর্জরিত। তবু থেমে থাকেননি কবি, থেমে থাকেনি অনুভূতির ফোয়ারা। আমার বিশ্বাস “প্রণয়ে পরিণত বিরহের গান” তার অসামান্য ভাষাশৈলী আর প্রগাঢ় ভালোবাসার আহ্বানে পাঠক হৃদয়ে এক সুচিন্তিত বোধে উজ্জীবিত থাকবে। মো. হাবীব ফারুখ খান প্রভাষক, ভাষা বিভাগ আইইউবিএটি ইউনিভার্সিটি
জন্ম ২৯ ডিসেম্বর ১৯৯৪ সালের এক পৌষ রাতে। তাই হয়তো কুয়াশায় গা ডুবিয়ে শিশির ছুঁয়ে ঘুরে বেড়ান রাত-বিরাতে। চায়ের দেশ বৃষ্টির শহর আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটে কাটে তার শৈশব কৈশোর ও প্রথম যৌবন। ভালোবাসেন নীল আকাশ, শরতের মেঘ, বন্ধু আড্ডা আর বাংলা গান। নেশায় পরিণত হয়েছে বাঁশির সুরে সুরে জোছনা স্নান। পড়াশোনা যন্ত্রকৌশল বিদ্যায়; তবুও কবিতায় খুঁজে ফিরেন নিজের অস্তিত্ব, নিজের প্রাণ। ২০১৩ সালে "বাংলানিউজ২৪.কম"-এ মুক্তমত পাতা দিয়ে লেখালেখির হাতেখড়ি হলেও কবিতাই তার ধ্যান-জ্ঞান।