“হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ...” ক্ষণজন্মা কবি আমাদের বাংলার সুকান্তের দেশপ্রেমের উপলব্ধির একটি কবিতার পঙ্ক্তির উদ্ভাসেই চিরায়িত বাঙালি সৃজনশীলতার হাজারো মনের মতোই কবি তহসিনা এ্যানির কাব্যময়তা সম্পর্কে বলাটা অবাঞ্চনীয় নয়। হঠাৎ এক সহজাত সৃজনশীলতার অন্তর্নিহিত আনন্দ-বেদনার প্রকৃতি ও মানবিকতার আন্তরিক অনুভবে সহজেই আকৃষ্ট করবে আমার বিশ্বাস। তাঁর বাক্যবিন্যাস স্বাভাবিক, সুসংহত ও সংবেদনশীলতায় মূর্ত ও ব্যক্ত এবং স্মৃতিময়তায় উচ্চারিত। তাঁর কবিতার পরিসর দীর্ঘ নয়, বিন্দু বিন্দু জলরাশি বা অশ্রুবিন্দুর মতো অনুরণন তাতে অথবা তাঁর ঝকঝকে স্বচ্ছ হাসির মতোই আবেদনময় তাঁর কবিতা কথন। এ্যানিকে অনুরোধ, মনে রেখো সব সময় “আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া/ বুকের মধ্যে বিশ্বলোকের পাবি সাড়া...” কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্তর্লোক ও ভুবনলোক এবং প্রকৃতির যুগল সম্মিলনের উপলব্ধির সৃজনী শক্তির কথা এটি। যেহেতু ভালোবাসতে জানো, তাই প্রার্থনা-আরো প্রগাঢ় হোক সবার ভালোবাসা তোমার জন্য যাতে তুমি আরো আরো “প্রাণ ভরিয়ে, তৃষ্ণা হারিয়ে...” আরো বিমুগ্ধ সমৃদ্ধতায় পরিপূর্ণ করো তোমার কাব্যের পরিসর-- From here to eternity মঙ্গল আকাঙ্ক্ষায় তোমারই ক্যামেলিয়া আপু শিল্পী ও কবি ৮ জানুয়ারি ২০১৮