দীর্ঘ ৬ মাস পর গ্রামের মাটিতে পা রাখলাে রুম্পা। প্রকৃতির নির্মল শােভা সেই ফেলে আসা দিনের কথা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে ওকে। গ্রামের অপূর্ব প্রকৃতি সরল পরিবেশ রুম্পার খুব পছন্দ ছিল। ঢাকার বদ্ধ পরিবেশ কঠোর ডিসিপ্লিন ওর একদমই ভাল লাগতাে না। কিন্তু কি আর করা মা-বাবার আদেশ সাথে মামা মামীর আবদার রুম্পাকে ঢাকাতে থাকতে হবে। গ্রামের পরিবেশ নাকি নষ্ট হয়ে গেছে। এই রায় রূম্পাকে বিনা শর্তে মেনে নিতে হলাে। এস.এস.সি পাশ করার পর রুম্পার মা-বাবা রুম্পাকে গ্রামের একটা কলেজে ভর্তি করে দেয় কিন্তু কিছুদিন পর ওকে ঢাকাতে পাঠিয়ে দেয়। ঢাকাতে একটা প্রাইভেট কলেজে ক্লাস করে রুম্পা। এখনত অবশ্যই পরীক্ষার কারণেই গ্রামে পা রাখার সৌভাগ্য হল রুম্পার। তরে পরীক্ষা শেষ হবার পর ভাগ্য তাকে আরাে কিছুদিন গ্রামে থাকার ব্যবস্থা করেদিল। ফ্যামিলিগত কারণে ওকে এখন কিছুদিনের জন্য গ্রামে থাকতে হবে। এর জন্য মায়ের সিদ্ধান্তে গ্রামের কোচিংয়ে ভর্তি হল রুম্পা। সবার মতাে সেও গেল কোচিংয়ে কিন্তু একদম নতুন অভিজ্ঞতা। অপরিচিত সবাই কিন্তু পরিচিত হতে এক পায়ে খাড়া। হবেই বা না কেন? গ্রামের অন্য মেয়েদের থেকে সু-দর্শনা ছিল যে রুম্পা। এক পলকেই নজর কাড়তে সব ছেলেদের। রুম্পা ক্যাম্পাসের বকুল তলায় দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু স্যার এখনাে আসছে না। রুম্পা বার বার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে। স্যার আসার সময়তাে পেরিয়ে যাচ্ছে। রুম্পা ওর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মেয়ের কাছে জিজ্ঞেস করল স্যার কখন আসবে। বল্লো একটু পর আসবে স্যার রাস্তায় আছে। তােমাকে তাে আগে কোনদিন দেখিনি। তােমার নাম কি? : আমি রুম্পা। আমি কলেজে আসি না তাে এই জন্যে আমাকে দেখােনি। তােমার নাম কি? : আমি মুক্তা। আজ থেকে তুমি আমাদের নতুন বন্ধু।