"সবুজ গাঁয়ের হলদে পাখি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: যে ভূগােল ও চেতনাগর্ভে ফাহাদের কবিতা জন্ম হয়। তার আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা খুবই নাগরিক এবং নিজস্বতাগুণে তাৎপর্যময়। গ্রন্থাবদ্ধ কবিতাগুলাে কোনাে এক মানবিক প্রবণতা দ্বারা পৃষ্ঠ না হয়ে জীবন ও অনুভবের বহুপ্রান্তকে ধারণ করছে উপলদ্ধির প্রেরণায় ও সৃজনশীলতার স্বত:স্ফুর্ততায়। একরৈখিকতা ভেঙ্গে বহুরৈখিকতায় উন্মুক্ত হয়। কবিতাগুলাের আবেগ ও যুক্তির মিলিত রৌদ্র-জলের প্রবাহ, অন্ধকার ও নৈরাশ্যকে কাল এবং মহাকালের জিজ্ঞাসায় ঠেলে দেয় ইতিহাস-ঐতিহ্যবােধ-সমাজমনস্কতায়। ভালবাসায় অবরােধ, প্রেমে বেদনা তাই সেয়ানা গুন্ডার মতাে ‘উজাড় সাতার শেষে গলে নামে বিষ বেদনার ঢল। প্রণয় ও পার্থিব ব্যথায় বায়বীয় দৃশ্যরা যেন ক্যালেন্ডারের দিনগুণে বাড়ি ফেরার, মত কবি জীবন্ত কবরে শুয়ে যেন নি:শ্বাস রাখছে শেষ তাকবীরের মাগরীবে। দৃষ্টি ও ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অনুভবের আলােয় ফাহাদ তৈরী করেছেন তার কসমােপলিটান প্রতিভাস, মানুষের চিরন্তন অসুখ, অবসাদ ও কান্তির পাঠ। কংক্রিট খনন করে তুলে এনেছেন বহতা সময়ের ক্রর। থাবা, সম্মােহন ও আত্মমগ্নতা। তবে ব্যক্তিবাদী একঘেয়েমিতে নি:শেষিত হয়ে যায়নি কবিতাগুলাে। অনেকটাই আত্মমগ্ন, নির্জন ও নগরনৈরাশ্যপীড়িত স্বপ্ন ও কল্পনার মুখােমুখি চলে যাচ্ছে বাড়ির ঠিকানায়... স্থির আশাবাদে প্রত্যয়ী নয়, ফলে মুক্তির প্রশ্নটিও বহুরৈখিতায় উন্মুক্ত এবং আন্তরিক অনুসন্ধানের বিষয়কখন, কেন, কিভাবে, কার ঘর?