“মন জাংশন" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ বৃষ্টির মাঝে সিগারেট ধরাতে ব্যর্থ ফয়েজ আশ্রয় নেয় এক দোকানের শেডের নিচে। তাকে সেখানে খুঁজে পায় পরিচিত এক পুরােনাে চোখ। ফয়েজ এড়িয়ে যেতে চায়, কিন্তু পারে না। সেই চোখের মালিক রুম্মানের সাথে শহরের এক অভিজাত মদের দোকানে অশােভন কথােপকথনের মাধ্যমে ফয়েজের মনে পড়ে যায় কিছু অতীত ঘটনা। ফয়েজ বের হয়ে যায় সেই দোকান। থেকে। পরদিন সকালে নিজেকে সে আবিষ্কার করে। হাসপাতালের ওয়ার্ডে। এভাবেই উপন্যাসটার শুরু। ফয়েজ, একজন প্রাক্তন লেখক। এক সময় লেখালেখি করত। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সবকিছু মিথ্যার মতাে’ নামে তার একটি উপন্যাসও প্রকাশিত হয়। ভালাে সাড়াও পায়। বর্তমানে ফয়েজ আর লেখালেখি করে না। না-করার কারণটা ছড়িয়ে আছে পুরাে উপন্যাসজুড়ে। ফয়েজের এক ছেলে আছে, সম্বল। ক্লাস টেনে পড়ে। ফয়েজের স্ত্রী, মানে সম্বলের মা মারা গেছে সম্বলের জন্মের সময়ই। বর্তমানে প্রতিদিনই দেখা যায় ফয়েজ মদ খেয়ে ঘরে ফিরে সম্বলকে প্রচণ্ড মারধর করে। মেরে বাথরুমে আটকে রাখে। উপন্যাসের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজ নিজ বৈশিষ্ট্য নিয়ে এক এক করে আগমন ঘটে। ফয়েজের অতীত প্রেমিকা ঝিলমিল, বড়াে ভাই সাজ্জাদ, স্ত্রী বীথি-সহ উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্রের।। প্রকৃতির প্রতি প্রচণ্ড উপেক্ষা ফয়েজের। কারণ এই প্রকৃতি কখনাে তাকে কিছু দেয়নি। বরং এক এক করে কেড়ে নিয়েছে আপন সবাইকে, সবকিছুকে। তারপরও পুরাে উপন্যাসজুড়ে অবহেলিত ফয়েজ শেষ পর্যন্ত আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করে যায় যে-কোনােকিছুকে, যে-কোনােভাবে। শেষ পর্যন্ত কি ফয়েজ পারে তার নিজ চেষ্টায় সফল হতে?