কবিতা হলো মানব হৃদয়ের অনুভূতি ও আবেগের শৈল্পিক অভিব্যক্তি। কবিতার আবির্ভাব কে বলা যায় হাজার বছরের ইতিহাস। এই উপমহাদেশে "চর্যাপদ" সেই গৌরবোজ্জ্বল স্বাক্ষর বহন করছে। তাই যুগে যুগে কবি ও কবিতা মানুষের কাছে সমাদৃত হয়ে আসছে। স্মারকলিপি বইটিতে গদ্য ও ছন্দোবদ্ধ কবিতার সমাহার ঘটেছে। বিষয় বৈচিত্র্যও রয়েছে প্রচুর। কবি মনের যে ব্যাকুলতা তা এই বইয়ের কবিতায় বিশেষ করে অপ্রকৃতস্থ বালক, প্রেমের দেবী, আমলকী, বই মেলার দিনে, বৈশাখী মঙ্গল, আমার কল্পনা গুলো, হারমানা কবিতা গুলোতে খুবই চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে। "মানবতার বিপর্যয়" কবিতায় রোহিঙ্গাদের তথা মানুষের যে নির্মম আর অসহায় অবস্থা কবি মনকে কষ্ট বা নাড়া দিচ্ছে তা স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। বর্তমানে কবিতা আর তেমন ভাবে পাঠকদের পড়া হয়ে ওঠে না। ব্যস্ত জীবনে সবাই সময়ের সাথে আবর্তিত হয়। এমন একটা সময় ছিলো যখন মনের খোরাকের বড় একটা অংশ ছিলো কবিতায়। কবিতায় যেন অল্প সময়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া যায়। তাই কবি আর কবিতা আবার ফিরে পাক নতুন জীবন। পাঠকরা ফিরে পাক কবিতার নতুন স্বাদ। আশা করা যায় "স্মারকলিপি " কাব্য গ্রন্থের মাধ্যমে কবিতার জগতে নতুন মাত্রা আসবে এবং পাঠকের হৃদয় জয় করবে।
১৯৮৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নারায়নগন্জ জেলার বন্দর থানার সম্ভ্রান্ত মিঞা বংশে জন্ম গ্রহন করেন। পিতা হাজী মো: মহিউদ্দিন দীর্ঘ দিন আদমজী জুট মিলস লি: চাকুরী শেষে বর্তমানে অবসর সময় পার করছেন। মাতা হাজী সালমা বেগম একজন গৃহিনী। মো: মজিবর রহমান (শব্দ) ১৯৯৯ সালে বিখ্যাত আদমজী হাই স্কুল (বিলুপ্ত) হতে এস.এস.সি.এবং ২০০১ সালে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ হতে এইচ.এস.সি. পাশ করেন। এরপর তিনি ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এ. (সম্মান) এবং ২০০৬ সালে এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। তার কর্মজীবন শুরু হয় সরকারি চাকুরির মাধ্যমে। তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যোগদান করেন। শৈশব হতে তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে তিনি নিয়মিত লিখতেন। কবিতা লেখার পাশাপাশি তিনি গান লিখেন ও সুর দিয়ে থাকেন।