রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে বসা সবুজ। চট্টগ্রামগামী ট্রেন কখন আসবে তার খবর নিচ্ছিল। টিকিট-মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারল ট্রেন আসছে। কিন্তু টিকিট সংগ্রহ করতে গেলে টিকিট নেই বলে জানাল টিকিট-মাস্টার। তাই বসে ভাবছিল কেমন করে সিলেট থেকে চট্টগ্রামে যাব। এমন সময় একজনকে টিকিট-হাতে বাইরে আসতে দেখলো সবুজ। লোকটাকে জিজ্ঞাসা করল, ‘ভাই কোন জায়গার টিকিট নিলেন।’ লোকটি বলল, ‘ভাই, বলবেন না! ৫০ টাকা বেশি দিয়ে চট্টগ্রামের টিকিট সংগ্রহ করলাম।’ লোকটির কথা শুনে সবুজের মনে আশার সঞ্চার হলোÑ হয়তো আমিও ৫০ টাকা বেশি দিলে টিকিট সংগ্রহ করতে পারব। কিন্তু ৫০ টাকা টিকিট-মাস্টারকে বেশি দিলেও টিকিট-মাস্টার তাকে টিকিট দিতে রাজি হলো না। মনে মনে ভাবছিল আমার বেলায় কেন এমন হলো। হয়তো সবুজকে কোনো আইনের লোক বা কোনো কর্মকর্তা মনে করছিল টিকিট-মাস্টার। সবুজ দেখতে ঠিক এমনই। এজন্যই হয়তো টিকিট-মাস্টার তার কাছে টিকিট বিক্রি থেকে বিরত থাকল। সবুজ চিন্তায় হাবুডুবু খাচ্ছিল। হঠাৎ একজন রেলওয়ে পুলিশকে দেখতে পেল সবুজ। সে তার দিকে এগিয়ে গেল। জিজ্ঞেস করল, ‘ভাই, আপনি এখানে চাকরি করেন?’ পুলিশ বলল, ‘হ্যাঁ। আমি এখানে কর্তব্যরত আছি।’ ─আমাকে একটি উপকার করবেন? ─বলেন, কী করতে পারি? সবুজ বলল, ‘আমি চট্টগ্রাম যাব। একটি টিকেটের প্রয়োজন।’ পুলিশ বলল, ‘কাউন্টারে যান।’ সবুজ বলল, ‘টিকিট-মাস্টার জানিয়েছে, টিকিট নাই।’
আলহাজ্ব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, পিতা মৃত আলহাজ্ব বজলুর রহমান ভূঁইয়া, মাতা- মৃত রাহিমা খাতুন, ১৯৪৪ সালে দাউদকান্দি উপজেলার বিরামকান্দি গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে বি.এ পাস করেন। সাহিত্যচর্চা ও সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ ছাত্রজীবন থেকেই তার ছিল প্রবল নেশা। তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতির শহর চাঁদপুরে ব্যবসায়িক জীবন অতিবাহিত করছেন। তিনি বর্তমানে স্টেডিয়াম রোডস্থ জাহানারা ম্যানশন-এর স্বত্বাধিকারী। তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে জড়িত আছেন।