মুখবন্ধ সাইদুর রহমান একজন কবি। হয়তো আমরা তাঁকে একজন উদীয়মান কবি বলব, কিন্তু গভীর অভিনিবেশ নিয়ে তার কবিতাগুলো পড়লে আমরা একজন বিকশিত কবির আভাস আবিস্কার করবো। এক অর্থে কবিতাগুলো দ্বান্দ্বিক বৈপরিত্যকে ধারণ করে কেননা, এ কাব্যদেহে একই সঙ্গে ঠাঁই পেয়েছে প্রকৃতি তথা গ্রামীণ জীবনের সরলতা এবং নগর জীবনের জটিলতা। তাঁর কবিতাগুলো একদিকে যেমন গভীর অনুভূতির অকৃত্রিম প্রকাশ, অন্যদিকে উপমা, উৎপ্রেক্ষা, রূপক ও প্রতিমা ব্যবহারে পরিণত কবিত্বশক্তির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কাব্যে শৈল্পিক বিচ্ছিন্নতা বা পরোক্ষতা শিল্পের মান নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কবি সর্বদাই চান তার ব্যক্তি সত্ত্বাকে গোপন রেখে তাঁর বোধকে নির্বিশেষ অনুভূতি, আবেগ বা উপলব্ধি হিসেবে প্রকাশ করতে। এটি একটি অত্যন্ত দুরূহ কাজ। কবি যেমন তাঁর নিজের সঙ্গে কথা বলেন ঠিক তেমনি তিনি তাঁর পাঠক বা শ্রোতার সঙ্গেও কথা বলেন। এ প্রক্রিয়ায় কবির ভেতরের মানুষটিকে সম্পূর্ণ গোপন করা কখনোই সম্ভব নয়। পরোক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে কবি সাইদুর রহমানের সাফল্য প্রশংসনীয়। একইসঙ্গে তাঁর কবিতাগুলো কখনো কখনো কবিরূপকে ছাপিয়ে মানুষ সাইদুর রহমানকে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছে। এখানেই কাব্যগ্রন্থ “মায়াজাল” এর সাফল্য। আমি গ্রন্থটির এবং কবির নিরন্তর সাফল্য কামনা করি। ইরশাদ আহমেদ শহীন ডিন, স্কুল অব আর্টস এন্ড কালচার, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, বনানী; ভূতপূর্ব পরিচালক, ল্যাংগুয়েজ সেন্টার, ইউআইটিএস, বারিধারা; প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, মোহাম্মদপুর।
সাইদুর রহমান বাংলা সাহিত্যের একজন নবীন লেখক। ছাত্র জীবনে থিয়েটারের সাথে জড়িত ছিলেন তাই লেখালেখির শুরু মঞ্চনাটক লেখার মাধ্যমে। নাটক লেখার পাশাপাশি একাধিক মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন, একাধিক নাটক নির্দেশনাও দিয়েছেন। এছাড়াও টিভি নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি ছিলেন জনপ্রিয় পরিচালক মনির হোসেন জীবনের সহকারী। চলচ্চিত্র পরিচালক হাবার সপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। ২০১২ সাল থেকে নিয়মিত লেখালেখি করছে। সাহিত্যদেশ পান্ডুলিপি পুরস্কার প্রাপ্ত ও ২০২২ সালের বইমেলায় প্রকাশিত "দুঃসহবাস" লেখকের প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস। মানুষ ও জীবন লেখকের লেখালেখির প্রধান উপজীব্য বিষয়। সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখালেখি তার অন্যতম শক্তি। আবার সবাই অবসরে বই পড়বে, বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পরবে তার লেখা, বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হবে তার বই, এই সপ্ন নিয়েই লিখে চলেছেন।