'উতল রোমন্থন : পূর্ণতার সেই বছরগুলো' বইয়ের সূচিপত্রঃ সংকেতাক্ষর তালিকা - xi কথামুখ - xv কৃতজ্ঞতা স্বীকার - xiv ১. যে পরিবারে জন্ম এবং যে পরিবারে বেছে নেওয়া - ১ ২. কলকাতায় বেড়ে ওঠা - ২৭ ৩. দার্জিলিং;কাঞ্চনজঙ্ঘার ছায়ার স্কুলের দিনগুলো - ৪৯ ৪. লাহোর; জমিদার প্রধানদের মাঝে বেড়ে ওঠা - ৭৩ ৫.লন্ডন; কল্পিত বাস্তবতা - ৯৬ ৬.কেমব্রিজ; পরিণত হওয়ার বছরগুলো - ১০৬ ৭.ঢাকা; জীবন ও সময় - ১৪৫ ৮.ঢাকা; ব্যবসা জগতে বিচরণ - ১৬৫ ৯.ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; অর্থনীতি পড়ানো এবং শিক্ষক হতে শেখা - ১৭৭ ১০.ঢাকা; ঘনিষ্ঠজনদের আবহে - ১৯৬ ১১.ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে পরিচয় - ২১৩ ১২.রাজনৈতিক অর্থনীতি থেকে রাজনীতিক অর্থনীতিবিদ - ২২৯ ১৩.জাতীয় আন্দোলনের সাথে যুক্তি - ২৫৩ ১৪.পূর্ণতা ;একটি রাষ্ট্র জন্মের সাক্ষী - ২৮৩ ১৫. পূর্ণতা;রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ থেকে মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক যোদ্ধা - ৩১৫ ১৬. পূর্ণতা; বিশেষ দূত - ৩৩৭ ১৭.পূর্ণতা ;বাংলাদেশের স্বাধীনতা - ৩৭৪ সংযোজন - ৩৯৭ লেখক পরিচিতি - ৪০১
উতল রোমন্হন : পূর্ণতার সেই বছরগুলো(Untranquil Recollections: The Years of Fulfilment বইটির অনুবাদ গ্রন্থ) পূর্ব্ পাকিস্তান থেকে স্বাধীন গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের হয়ে ওঠার ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে রচিত রেহমান সোবহানের নিজস্ব জীবন কাহিনী এই বইটা। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবি রেহমান সোবহানের স্মৃতিচারণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তরুণ শিক্ষক রেহমান সোবহান ষাটের দশকে বাংলাদেশের জাতীয়তা আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন ।সাক্ষ্য করেন ভারত ,পাকিস্তান ,বাংলাদেশের ইতিহাসের কিছু অসামান্য পর্যায়ক্রমের অতুলনীয় ঘটনা এ বইটিতে তিনি সে গল্পই তুলে ধরেছেন এবং তার জীবনে সেসব ঘটনার প্রভাব বর্ণনা করেছেন। তার গল্প এক ব্যক্তি বিশেষের জীবন ও পরিপার্শ্ব নিয়ে –অপেক্ষাকৃত সুবিধাভোগী পরিবারে যার জন্ম; অভিজাত স্কুলে যার শিক্ষাদীক্ষা। পরবর্তী সময়ে অভিপ্রেত পথ থেকে সরে গিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত তার জীবন। পরিশেষে যুক্ত হওয়া জীবন উথাল করা এক রাজনৈতিক সংগ্রামে –স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মে যার চূড়ান্ত পরিণতি। রেহমান সোবহান (চেয়ারম্যান) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)ঢাকা, বাংলাদেশ।
জন্ম ১৯৩৫ সালের ১২ মার্চ কলকাতায়। তাঁর বাবার নাম কে.এফ.সোবহান। তিনি ছিলেন পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রদূত। তাঁর মায়ের নাম হাসমত আরা বেগম। তিনি দার্জিলিং-এর সেন্ট পলস্ স্কুলে এবং লাহোরের অ্যাচিসন কলেজ থেকে পাশ করেন। ১৯৫৬ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়থেকে অর্থনীতিতে এম.এ ডিগ্রী অর্জন করেন। রেহমান সোবহান ১৯৫৭ সালের অক্টোবর মাসে দেশে ফিরে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। ১৯৭৭ সালে অধ্যাপক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন রেহমান সোবহান। অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদমর্যাদায়); শিল্প, বিদ্যুত্ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগ এবং অবকাঠামো বিভাগে (১৯৭২-৭৪) যথাক্রমে চেয়ারম্যান, গবেষণা পরিচালক, মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বিআইডিএস- এ এমিরিটাস ফেলো হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও কুইন এলিজাবেথ হাউজে ১৯৭৬-১৯৭৯ পর্যন্ত ভিজিটিং ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট এর এ্যাডভাইজরী কাউন্সিল (ক্যবিনেট মিনিস্টার এর পদমর্যাদায়), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (১৯৯১) সদস্য ছিলেন। তিনি সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর পলিসি ষ্টাডিজ-এ (২০০১-২০০৫) নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। তিনি ১৯৯৪- ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া তিনি বিআইডিএসের পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন। রেহমান সোবহানের প্রকাশিত মনোগ্রাফের সংখ্যা ৪২ টি। এছাড়া তাঁর বিভিন্ন জার্নালে প্রায় ২০০ এর উপরে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর কাজের প্রধান বিষয়বস্তুর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আইয়ুব খানের কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচীর রাজনৈতিক সম্পর্ক, মধ্যবর্তী শাসন পদ্ধতিতে সার্বজনীন সাহসী উদ্যোগের ভূমিকা, বৈদেশিক নির্ভরশীলতার সংকট, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতা, কৃষিজ সংস্কার, সমন্বয় নীতি সংস্করণের সমালোচনামূলক নিবন্ধ, দুঃশাসনের ব্যবচ্ছেদ এবং সর্বশেষে দারিদ্র বিমোচনের কৌশল।