গগন চৌধুরী আদতে ভুঁইফোড় কেউ নন। তার নানামাত্রিক জীবনে রমণী ও ঐশ^র্যের প্রাচুর্য ছিল বেশ। পোড় খাওয়া গগন সময়টাকে বশে আনতে গিয়ে বৈধ-অবৈধ নানা রকম কাজে সম্পৃক্ত হন, তার বিচিত্র চলার পথে গলি-ঘুপচি ধরে অনিবার্যভাবে প্রেম এসে পড়ে। কামনার হোমানলে ধিকি ধিকি জ¦লতে থাকেন গগন চৌধুরী। সেখানে আনিলা, অহনা বা মৌপিয়ার মতো শরীরসর্বস্ব মেয়ে যেমন ছিল, তেমনি ছিল তার বিবাহিত স্ত্রী আরজু বেগম ও একমাত্র ছেলে কাজল- যে কিনা একটি স্পেশাল চাইল্ড। মামুন মোড়ল তার প্রতিপক্ষ, গগন চৌধুরীকে মামুন একজন ঠগ ও প্রবঞ্চক বলে চেনে। মজার ব্যাপার, পেশাদার খুনি র্খুরম এদের দুজনেরই খুব ঘনিষ্ঠ সহচর। সে যাই হোক, সহসাই একদিন নিজের বাড়িতে আত্মঘাতী হন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গগন চৌধুরী। খুন নাকি আত্মহনন! ডিটেকটিভ অলোকেশ একটি আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়ের সূত্রে এই কেসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে। ইন্সপেক্টর নাজিরের ধারণা, অলোক তাকে না মারলেও কিছু একটা সংশ্লেষ তার ছিলই। বস্তুত গগন চৌধুরীর কেসে প্রায় ফেঁসেই যাচ্ছিল অলোকেশ। ভাগ্যিস তার খুব কাছের বান্ধবী ও বিশিষ্ট আর্কিটেক্ট উর্বী ওরফে জলপিপি ওর পাশে এসে দাঁড়ায়! ক্রাইম রিপোর্টার শুভও অবশ্য মগজ খেলিয়েছে খুব! গল্পের শেষে জানা যায়, গগন চৌধুরী কেবল বিজনেস ম্যাগনেট নয়, তার চরিত্রে ছিল দশ কুঠুরি হাজার দরজা!