"নিষুপ্ত" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: গ্রাম থেকে শহরে পড়তে আসা এক যুবকের টিকে থাকার যুদ্ধ; তারই সমান্তরালে একটা রাষ্ট্রও পার করছে এক কঠিন সময়। রাজনীতি, মিডিয়া, ফটকাপুঁজির কারবার, ক্রসফায়ার- এসবের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল রাষ্ট্রটি। যুবক অবচেতনে জড়িয়ে পড়ছিল সেসব ঘটনায়। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে একসময় যুবক আবিষ্কার করে তার ধর্মীয় পরিচয়। বন্ধুদের আড্ডায় সে বলেই ফেলে একদিন, ... দেখ স্নিগ্ধা, এসব নিয়ে আলাপ করতে আমার খুব লজ্জা লাগে। আর কোথাও খােলামেলা আলাপও হয়। এসব যেন মাইনােরেটি ফ্যামিলিগুলাের একান্ত কনফিডেনশিয়াল বিষয়। খাবারের টেবিলে ফিসফিসিয়ে বলতে হবে, হােটেলে হলে এক কোণায়-নীচুগলায়, অন্যরা যেন শুনতে না পারে ...' সঙ্গোপনে থাকা একথাগুলাে যুবকের জীবনচলার বাঁকে মাঝে মাঝে চোরাগােপ্তার মতাে হানা দেয়। যতই চোরাকাটাকে অগ্রাহ্য করা যাক না কেন, দিনশেষে তার কিছু গ্লানি রয়ে যায় চেতনায়। তার এ অব্যক্ত কথাগুলােই বাঙ্ময় হয়েছে নিষুপ্ত-এ। তবে জাতপাত বিষয়বুদ্ধির জঞ্জালের ভেতর নিভৃতে বেড়ে উঠেছে দুই মানব-মানবীর কাছে আসার চেষ্টা, মানুষে মানুষে মেলবার কামনাই এ উপন্যাসের মূল সুর।
জয়দীপ দে জন্ম ১৯৮০। চট্টগ্রামে। রেলওয়ে হাসপাতালে। বাবা ছিলেন রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ার। সে সূত্রে রেলপাড়ায় বড়ো হওয়া। আদিভিটে সিলেটে। পড়াশোনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিষয় ছিল চারুকলা। বর্তমানে শিক্ষক প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। বিচিত্র বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে আনন্দবোধ করেন।