সারসংক্ষেপঃ সারাদিনের কর্মক্লান্তির পর পুরুষ তার নিঃসঙ্গ জীবনে কোনো নারীর কথা ভাবে। নারী তার স্টাইলে, ঢঙে, চলনে, নিত্য নতুন সাজে ধরা পড়ে সে ভাবনায়। রোমান্টিকতা আক্রান্ত মন অন্বেষণ করে সেই প্রেয়সীকে। ‘শেষ দৃশ্য’ উপন্যাসের প্রেমিক দিহান ও তেমনি বহু কষ্ট, ক্লান্তির পর খুঁজে পায় তার আরাধ্য প্রেমিকা উর্বশীকে। দিহান জয় করে তার ভালোবাসা। প্রেমের মধুর কথাস্রোতে চলতে থাকে পারস্পারিক বোঝাপড়া। তারা অপেক্ষমান সুন্দর আগামিকে সাজানোর পরিকল্পনা করে। শুধু বিয়ের অপেক্ষা। কিন্তু উর্বশীর স্বেচ্ছাচারী বাবার একক সিদ্ধান্ত তাদের সযত্নে বেড়ে উঠা ভালোবাসাকে বেড়ে উঠতে দেয়নি। উর্বশী বাধ্য হয়ে অন্য পুরুষকে বিয়ে করে। তার পর? শেষ দৃশ্যের অপেক্ষা। কী হলো দিহানের? জীবনের মাঝপথে ব্যর্থ হলো দিহানের চাওয়া-পাওয়ার সকল আয়োজন। অন্ধকারে ঢেকে যায় তার পৃথিবী। অদূরে সে শুনতে পায় সমুদ্রের গর্জন। অতঃপর বুকের ভেতর ভঙ্গনের শব্দ। তার পর কিছু বলতে পারে না। দুর্বহ যন্ত্রণা নিয়ে অচেতন অবস্থায় মুখ থুবরে পড়ে থাকে। অসাধারণ ভাষাশৈলী, রোমান্টিক সংলাপ আর হৃদয়গ্রাহী বর্ণনার মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে ‘শেষ দৃশ্য’ উপন্যাসের কাহিনী।
জন্ম ৮ ডিসেম্বর ১৯৭৫, নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার মন্দলদিয়া গ্রামে। পিতাঃ মোহাম্মাদ আমজাদ আলী ও মাতাঃ মোসাঃ নুরজাহান বেগম। শৈশব কেটেছে গ্রামেই। ছোটবেলা থেকেই তিনি স্বল্পভাষী, চিন্তাশীল, জ্ঞাননিষ্ঠ, মেধা ও মননের অধিকারী। অন্যায়, অনিয়ম আর নারী শিক্ষার সপক্ষে দ্বিধাহীন সমর্থক। শিক্ষাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৫ সালে বাংলায় অনার্স ও ১৯৯৬ সালে এম এ করেন। কলেজ জীবন থেকেই লেখালেখি শুরু হলেও পারিবারিক নানা তানাপোড়েনের জন্য লেখার অদম্য ইচ্ছা প্রস্ফুটিত হতে পারেনি। তাই শৈল্পিক মনের সৌন্দর্য পূর্ণতা পায়নি। পত্রিকা ও বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত গল্পঃ ক্যাকটাস, আমার প্রতিদিনের শব্দ, সীমান্ত, ভাষার খোঁজে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। প্রবন্ধঃ বাংলাদেশে নারীর অবস্থান ও নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা। কাব্যঃ মেঘ-রৌদ্র উপন্যাসঃ শেষ দৃশ্য (বই মেলা ২০১৮), নিঃসঙ্গচলা (অপ্রকাশিত) এছাড়া আজকের কাগজ ও ভোরের কাগজে কয়েকটি নিবন্ধ প্রকাশ পেয়েছে। কর্মজীবনঃ ২০০০ সালে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড এ অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে পাঁচকান্দি ডিগ্রি কলেজে ২০০৪ সালে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। প্রতিভায়, সদাচারে, বিনয়ে, মহিমায় সমুজ্জ্বল উদীয়মান এই লেখিকার জন্য অশেষ শুভ কামনা।