"দ্য ট্রু ফেস অব ইসলাম" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বৈশ্বিক রাজনৈতিক জিহাদের সঙ্গে আজকাল ইসলাম শব্দটি সমার্থক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইসলামের আধ্যাত্মিকত্বকে প্রায়ই ভুলভাবে গোঁড়ামির সঙ্গে এক করা হয়। তাহলে কীভাবে মুসলিম যুব সমাজ তাদের বিশ্বাস পাকাপােক্ত করবেন? কীভাবে তাদের ধর্মের প্রকৃত সৌন্দর্য প্রচার করে মানুষকে ইসলামের শান্তির পতাকাতলে আসতে উদ্বুদ্ধ করবেন? সমাজকর্মী এবং উদ্যোক্তা রামিশ সিদ্দিকী প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ মৌলানা ওয়াহিদউদ্দিন খানের চিন্তাশীল এবং চেতনা উদ্রেককারী সংশ্লিষ্ট প্রবন্ধসমূহ। একত্রিত করে প্রকাশ করেছেন- যেখানে ইসলামের প্ৰকতরূপ প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছে। মৌলানার লেখা হতে রামিশ আবিষ্কার করেছেন যে, নবী করিম হযরত মােহাম্মদ (সা) সর্বপ্রথম সর্বজনীন লােকায়ত শিক্ষা ব্যবস্থার সূচনা করেছিলেন। ইসলাম কার্যত লৈঙ্গিক সমতা গ্রহণ করে এবং প্রত্যেক জন্মগ্রহণকারী তার দেশের জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে পারেন। পবিত্র কোরআন বিশ্বাসীদের কোনােভাবেই সহিংস হওয়ার বিষয়টি অনুমােদন করেনি। রামিশ তার গভীর অন্তবীক্ষণ দ্বারা রচিত সূচনা পর্বে ৯/১১ এর ঘটনার ফলে তার মধ্যে সৃষ্ট দ্বিধাদ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করেছেন এবং প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানার পরে তিনি কীভাবে নিজেকে পরিবর্তন করলেন। তা-ও অকপটে বর্ণনা করেছেন। এখানে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যার ধরন সম্পর্কে সারগর্ব আলােচনা স্থান পেয়েছে এবং কীভাবে ইসলাম রাজনৈতিক আকার পেয়েছে সে বিষয়েও দৃষ্টিপাত করা হয়েছে। প্রত্যাশা করা যায় সুগভীর অন্তদৃষ্টির সঙ্গে লেখা এই গুরুত্বপূর্ণ পথপ্রদর্শনমূলক বইটি সাম্প্রতিক সময়ে চলমান বিকৃত ধারায় ব্যবহৃত ইসলাম হতে বিশ্বাসীদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।