মাহবুবুল হাসানের সম্পাদনায় ২০১০ সালে অ্যাডর্ন পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত হয় চট্টগ্রাম বাংলার। অভিধান নামে চট্টগ্রামী বাংলা থেকে প্রমিত বাংলার একটি অভিধান। সেই অভিধানটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই আরও গ্রহণযােগ্য ও পরিপূর্ণ ইংরেজি অর্থসহ একটি অভিধান প্রণয়নের পরিকল্পনা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সম্পাদকের দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল চট্টগ্রামী বাংলা-ইংরেজি অভিধান Chattogrami Bangla-English Dictionary । বর্তমান অভিধানটিতে। সংযুক্ত করা হয়েছে চট্টগ্রামী বাংলার বিপরীতে প্রমিত বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি শব্দও। এছাড়া সন্নিবেশ করা হয়েছে ২১৬৬ নতুন ভুক্তি, উপভুক্তিসহ অসংখ্য প্রবাদ-প্রবচন, লােকছড়া, ধাধা ইত্যাদি। আঞ্চলিক ভাষার শব্দ সংগ্রহ ও অভিধানের পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে একটি বড়মাপের কর্মোদ্যোগ। বাংলা ভাষার। আঞ্চলিক শব্দ সংগ্রহের কাজ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শুরু করে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ। ঢাকার বাংলা একাডেমি আঞ্চলিক শব্দের অভিধানও প্রকাশ করেছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে যেসব। উৎসাহী মানুষ আঞ্চলিক শব্দ সংগ্রহের ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন মাহবুবুল হাসান তাদের একজন। বর্তমান অভিধানটি শব্দপ্রেমিক ও ভাষা-গবেষকদের কাছে আরও বেশি সমাদৃত হওয়ার পাশাপাশি ইংরেজি। অনুবাদ থাকায় চট্টগ্রামী ভাষাপ্রেমিকদের জন্য অথবা। চট্টগ্রামী ভাষা না-জানাদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক। হবে। এই অঞ্চলের মানুষের ভাব-ভাষা বুঝতে সহজ হবে। অভিধানের ইতিহাসে এইরকম কাজ সম্ভবত খুবই দুর্লভ।
মাহবুবুল হাসান মূলত ছড়াকার। একসময় দু’হাতে ছড়া লিখেছেন। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত টইটম্বুর নামে ছড়া সঙ্কলন সম্পাদনা করেছেন। পরে হাত দেন ছড়া বিষয়ক আলোচিত লিটল ম্যাগাজিন ছড়া পত্রিকা সম্পাদনায়। তার বইয়ের সংখ্যা ৬টি। এরই ফাঁকে নীরবে কাজ করেছেন চট্টগ্রামের লোকভাষা নিয়ে। তারই ফসল চট্টগ্রামী বাংলার অভিধান। পেশাগতভাব তিনি ইস্টার্ণ রিফাইনারী লিমিটেড-এ কর্মরত।