"ক্যাম্পাস টু কর্পোরেট" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ ক্যাম্পাসে থাকতে কর্পোরেট জগত নিয়ে অনেকের মনেই বিচিত্র ধারনা থাকে। এক এক জন এক এক রকমের স্বপ্ন দেখেন, এক এক জনের লক্ষ্য থাকে এক এক রকম। অনেকের মাঝেই দ্বিধা থাকে কি করলে কি হবে? অনেকের কাছে যথাযথ দিক নির্দেশনা থাকে না। অনেকে কার কাছে দিক নির্দেশনর জন্য যাবেন, সেটা বােঝেন না। এর ফলে যেটা হয়, এক বিষয়ে পড়ে অন্য বিষয়ে অনেকে ক্যারিয়ার গড়তে যান। হাতে গােনা। দুই চারজন সফল হলেও অনেকে ব্যর্থ হন, সেই ব্যর্থতা অনেকের মাঝে হতাশা বয়ে আনে। অন্যকে ইমপ্রেস করতে হলে নিজেকে এক্সপ্রেস করতে পারতে হবে। এই বইটি আসলে সবার জন্য। যারা ক্যাম্পাস থেকে কর্পোরেটে যাবেন তাদের জন্যও যেমন বইটি উপযােগী, তেমনি, তারা কর্পোরেটে আরাে ভালাে সুযােগ খুজছেন, তাদের জন্যও উপযােগী। বইটিতে মূলত সিভি লেখার কলাকৌশল বিস্তারিত বলা রয়েছে, আপনি নিজেই নিজের সিভি তৈরি করতে পারবেন বইটি পড়ার মাধ্যমে। আপনার পরিবার পরিজন, সিনিয়র, জুনিয়রদের সাহায্য করতে পারবেন বইটি পড়ার মাধ্যমে। শুধু সিভি তৈরিই নয়, বরং, সিভি পাঠানাে, সিভি নিয়মিত আপডেট করা থেকে শুরু করে, ইন্টার্ভিউ দেয়া পর্যন্ত সব গুলাে কৌশল বিস্তারিত বলা আছে বইটিতে। যারা ক্যারিয়ার অগ্রযাত্রায় বিভিন্ন পদে হোঁচট খাচ্ছেন, যাদের সিভি রিজেক্ট হচ্ছে, যারা শত শত বার সিভি পাঠিয়েও ভালাে ফল পাচ্ছেন না, তাদের জন্য বইটিতে রয়েছে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা। অনেক কোম্পানি আছে, চাকরীর শুরুতে ৫ বছর অবস্থান করার শর্ত দিয়ে চুক্তি করিয়ে জয়েন করতে বলে যা কিনা আইনত বৈধ নয়, এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা পাবেন। আপনার কাছে চেক কিংবা সার্টিফিকেট চাইলে কি করবেন, সেই দিক নির্দেশনাও আছে। মােটকথা, এই বইটির যথাযথ ব্যবহার আপনার ক্যারিয়ার অগ্রযাত্রায় নতুন মাত্রা যােগ করতে পারে।
“নিয়াজ আহমেদ” বাংলাদেশের প্রথম সিভি রাইটিং কোম্পানি “কর্পোরেট আস্ক” এর সিইও হিসেবে কাজ করছেন। ২০২৫ সালের ভিতর এক লক্ষ মানুষকে জব পাওয়ার জন্যে সকল সহযোগিতা করে যাচ্ছে কর্পোরেট আস্ক। তিনি মূলত তরুণদের জব আরও বেটার জব পাওয়ার কৌশল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করেন। তার সকল বই স্কিল ডেভলপমেন্টের উপর লেখা। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে সিভি লিখে দেয়ার মাধ্যমে বেটার জব পেতে হেল্প করেছেন তিনি। তার লেখা বইয়ের সংখ্যা ১৭। তিনি বিশ্বাস করেন, অন্যকে ইমপ্রেস করতে হলে নিজের কাজগুলোক এক্সপ্রেস করতে পারতে হবে। আর কোন মানুষ যদি স্কিল্ড হয় এবং তার কাজকে প্রেজেন্ট করার কৌশল জানে, তাহলে তার নেক্সট ক্যারিয়ার মুভমেন্ট আর কোনভাবেই আটকে থাকতে পারে না। বাংলাদেশে এতো এতো দক্ষ এবং যোগ্য মানুষ, কিন্তু কোম্পানিগুলোর টপ পজিশনে শ্রীলংকান বা ইন্ডিয়ান মানুষ বসে আছেন। এটা তাকে বিষণ কষ্ট দেয়। তার এই লক্ষাধিক ক্লায়েন্ট থেকেই হয়তো কেউ হচ্ছেন, দেশীয় কোম্পানির টপ লিডার। এমনটাই তার মূল লক্ষ্য। Niaz Ahmed লিখে গুগোল করলে, ফেইসবুক ও লিংকডইনে খুঁজলে, আরও বিস্তারিত জানা যাবে।