খুন হওয়ার আগে একজন কী ভাবছে? একদল তরুণ তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেওয়ার পর কী করছে? একজন মানুষ সোশাল মিডিয়ায় একটা মেয়ের সাথে কথা বলতে গিয়ে কী নিয়ে আলাপ করছে? প্রত্যাখ্যাত হওয়ার আশঙ্কা সত্ত্বেও একজন প্রেমিক তার প্রেয়সীর বাড়িতে কেন যাচ্ছেন? একটি বাড়ির বারান্দায় কেন শিশুর লাল জামা ঝোলে, অথচ তাদের দেখা যায় না? বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে যাওয়ার পরও কেন একটি মাত্র দরিদ্রদের গ্রাম থেকে যায়? বেতন না হওয়ার মাসে একজন মধ্যবিত্তের কী হয়? মুক্তিযুদ্ধে একজন যোদ্ধা বিল সাঁতরানোর পর কি হয়েছিল? একটি জনপদের সবাই উঁকুন আক্রান্ত কেন হল? মানুষগুলো হারিয়ে কোথায় যায়? জীবনে প্রথম যৌনতার স্বাদ কেমন ছিল?... এরকম ঊনচল্লিশটি ছোট গল্প নিয়ে ‘মৃত্যু ও মিডিয়া এক্সপোজার’। লেখক গ্যারান্টি দিচ্ছেন, ৯৫ ভাগ গল্পের দৈর্ঘ্য এক হাজার শব্দের নিচে। দুই বছর পর ফারিন যোগাযোগ করা বন্ধু মাহমুদ ইমরানের সাথে। মাহমুদ তখন নিজের বিয়ে বিচ্ছেদের কারণে নিজের থেকে পালাতে আত্মজীবনী লেখায় ব্যস্ত। এভাবেই শুরু ‘মেয়েটি জিহাদে গিয়েছিল’ উপন্যাসটি। ইসলামি তত্ত্ব, ইতিহাস, মিথ, কোরআন ও হাদিস এবং সমসাময়িক খেলাফত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা নিয়ে লেখা উপন্যাসটিতে উঠে এসেছে অসংখ্য চরিত্র। উপন্যাসে নবী মুহাম্মদের স্ত্রী আয়েশা, মধ্যযুগের দাসী কবি লুবনা অব কর্ডোভা, কোরআনে উল্লেখিত নবী জুলকার নাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ, ইমাম মাহাদি ও দাজ্জাল, সুফি শাহ জালাল ও শাহ পরান, ভারতবর্ষের প্রথম মুসলিম তাজউদ্দীনসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক চরিত্র বর্তমান ও নিকট অতীতের চরিত্রগুলোর সাথে মিলেমিশে তৈরি করেছে নতুন গল্প। পুরো উপন্যাস জুড়ে মিথ, ইতিহাস এবং চলমান ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে অসংখ্য টুকরো গল্প বলা হয়েছে। একদিকে মাহমুদের আত্মজীবনীতে যেমন এসেছে তার পরিবার, পল্লীকবি জসীম উদ্দীন, ঢাকা শহর ও সমসাময়িক রাজনৈতিক আন্দোলন, পরিবেশ আন্দোলন— অন্যদিকে ফারিনের গল্পের মধ্য দিয়ে এসেছে ‘জিহাদি’ তৎপরতা, একটা গ্লামারাস ঝকঝকে জীবন ও যৌনতা।