দেশময় সেইসব মানুষের কথা। লােকচক্ষুর অন্তরালে বা চোখের সামনেই যাদের নিত্য ঘােরাফেরা। গিজগিজ করা মানুষ, সংগ্রামী তবু ফ্যাকাশে জীবন। অনিত্যের দেশকালে তারা প্রতিদিন ঢিস খায়, চেঁচায়, আহাজারি করে। কারাে কারাে জীবনের বাঁকে বাঁকে আঠালাে কদর্যতা পরাজয়, প্রতারণা, অবিশ্বাস। থকথকে লালসা কখনও তাদের নিমজ্জিত করে অতলে। নিমেষে পতনের হুমড়ি নিমেষে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে সবকিছু। বাস্তুচ্যুত জীবনের ক্ষতচিহ্ন নক্ষত্রের মতাে জ্বলজ্বল করে ললাটে। পরাজয়, হতাশা, ক্লেদ। স্বপ্নেরা নিত্য প্রতারিত করে প্রতিটি আকাক্ষিত বা হা-ভাতময় ঘুমের ভেতর। বা জঠরেই স্বপ্নেরা মরে । শুলানির বিষ বা কষ্টের বিলাপে ঘুম ভাঙে আরাে একটি অনিশ্চিত দিনের আশংকায়। তবু তারা বেঁচে থাকে, বেঁচে থাকার আকুতি জানায়। কেউ কেউ স্বপ্নচারী। নিজেদের বিলিয়ে দেয় জীবনের অপার সৌন্দর্য্যে, মমতায়, সংগ্রামে। তারা ঘুরে দাঁড়াতে চায় গর্জে ওঠে আরােপিত কষ্ট, লােলুপতা আর হিংস্রতার সামনাসামনি। ফের সাহস করে জীবনকে সাজায় একটু একটু করে। চায় ভালােবাসতে। লালিত স্বপ্ন দিয়ে জীবন গাঁথে ভােরের বকুলমালার মতাে। দিগন্তপ্রসারী বিলের খােলা হাওয়ায় লম্বা শ্বাস নেয়।