ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা নদীতে স্রোতের মতই আমাদের জীবনও সামনের দিকে বয়ে চলে নিরন্তর। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কর্মব্যস্ত দিন কাটাচ্ছি আমরা। সাথে সাথে ভুলে যাচ্ছি সোনালি শৈশব, হারিয়ে ফেলছি মানবতা, মূল্যবোধ। কম্পিটার সভ্যতার এই যুগে বিলাসী ভবিষ্যতের হাতছানি আমাদের মন থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে শ্রদ্ধাবোধ। বিনিময়ে আমরা পাচ্ছি স্বার্থপরতা, লোখ, ক্রোধ, সিংসা আর পশুত্ব। এভাবে কত দিন চলবে? শেষ পযর্ন্ত তাবৎ প্রাণীকুলের মধ্যে আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের আসন টবে উঠবে না তো? ভূমিকা সাহিত্য রচনার প্রেরণার মধ্যে জড়িত থাকে মনের গভীরতম অনুভূমি ও পরিবেশ-সচেতন মনোভাব। অনেকাংশে নিজেকে ও পারিপার্শ্বিকতাকে আবিষ্কারের একটা বাসনা অনুভূতি আলোকে প্রকাশিত হয়। সাহিত্যে ‘সাহিত্যের জন্যে সাহিত্য’ ও ‘মানুষের জন্যে সাহিত্য’ এই আদর্শের যেকোনো একটি অবলম্বন করে একজন সাহিত্যিক অগ্রসর হন সৃষ্টির গভীরতায়। সাহিত্যিক মোঃ সফিকুল আলম সমাজ-সচেতন শিল্পী। ইতোমধ্যেই তাঁর একাধিক ছোটগল্পের সংকলন, উপন্যাস ও কবিতা সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। নদীর প্রবহদমান স্রোতের মতো মানুষেল জীবন অতিক্রান্ত হয়েও ক্রান্তিকালের বিষণ্নতা, মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়কে তিনি মেনে নিতে পারেননি। প্রেম, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধের পরিবর্তে স্বার্থপরতা, বিদ্বেষ আর লোভ তাঁকে ব্যথিত করেছে। সমাজের একজন সচেতন মানুষ হিসেবে তিনি এই দিকগুলি তাঁর ছোটগল্পে উপাদান হিসাবে গ্রহণ করলেও ব্যর্থতা আর অবসাদের কাছে পরাজয় স্বীকার করেননি। তাঁর মনের তারুণ্য ও সমাজ-মনস্কতা প্রতিটি গল্পে প্রতিফলিত হয়েছে জীবনের নিশ্চিত ও সুন্দর প্রকৃতি অন্বেষায়্! ‘মুখোশ’ গল্প-সংকলনে অতি প্রাকৃতি দিক থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তুরের মানুষের জীবনবোধ প্রতিফলিত হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মোঃ সফিকুল আলম জীবন- সুন্দরের প্রত্যশা করেছেন। তাঁর গল্পের প্লটের মতো ভাষার মধ্যেও সব সময় স্পষ্টতা গল্পগুলিকে জীবন্ত করে তুলেছে। আর এখানেই গল্প লেখার ক্ষেত্রে লেখকের সার্থকতা। বিভিন্ন প্লটের মাধ্যমে সজ্জিত ‘মুখোশ’ পাঠকদের আকৃষ্ট করবে।