“বিদেশ ভালো" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ বার্লিন, ম্যাগডেবার্গ, বার্গ বাই ম্যাগডেবার্গ, হালে সালে, ভিটেনবার্গ, পটসদাম, এরফুর্ট, ওয়ারশ, ভিয়েনা, জাগরেব,। প্যারিস,লন্ডন, গ্লাসগাে, এডিনবার্গ.. ভিন্ন ভিন্ন সময়। ভিন্ন ভিন্ন দেশ। ভিন্ন ভিন্ন শহর। এমন অসংখ্য শহরে অসংখ্য মানুষ। নাম না জানা সে সব মানুষ। একেকটা মানুষ যেন একেকটা জ্যান্ত গল্প। ঘুরছে ফিরছে। গল্প হয়ে যাচেছ নিজে নিজেই। সেই সব গল্প চাইলেই শােনা যায়না। একটা বিনিময় ঠিক করে নিতে হয়। বিনিময় হিসাবে টাকা-পয়সা অনেক ব্যর্থ সেখানে। সেখানে বিনিময়ের নাম ভালােবাসা আর ওম। সেই বিনিময়ে অচেনা মানুষ ছুঁতে দেয় তার বহুদিনের লুকানাে কষ্টের গল্প। একটু যত্ন করে সেই গল্প ছোঁয়া। কষ্টের সাথে সাথে উপচে পরা আনন্দের গল্পেরাও থাকে সেখানে। সেখান থেকে অচেনা কারাে হাত ধরে বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়া। সে সব গল্প শােনা! শহর থেকে শহরে ছুটে চলা! তারপর গােপন সূত্রের মতাে জেনে যাওয়া আমরা সবাই একই শহরের! একই দেশের! একটাই পুরােনাে গ্রহ আমাদের সবার। এরপর মানুষের কাছাকাছি গিয়ে গল্পের বদলে তার ওম নিয়ে ফেরা। বদলে যাওয়া ওমের ফেরিওয়ালায়। গল্পের ওম আর ওমের গল্প। পৃথিবীর রাস্তায় নেমে আস্ত একটা মানুষ রাস্তার হয়ে যাওয়া। পথ ঘুরে ঘুরে পথের মতাে ছিড়ে ছিড়ে যাওয়া। তারপর আবারও গাছের পাতার মতাে মানুষেরই আশ্রয়ে। এমনই প্রতিটা গল্প পথের দেশের শহরের মানুষের এই-ই সব.. এখানে।
এই লেখক মূলত অপরিচিত। জন্ম ১৯৮৫ সালে। জুলাই মাসে। বৃষ্টির দিনে। পুরোনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পাশে। একটা বেশ বয়স্ক বাড়িতে। মা আফরিন মজুমদার একটা জীবন লেখকের পরিবারকে দিয়েছেন। বাবা মোহাম্মদ আবুল কাশেম মজুমদার সরকারী চাকুরে ছিলেন। তিনি তাই ঘুরে ঘুরে দশ ক্লাস পাশ করতে পড়েছেন আট স্কুলে। শেষেরটা কুমিল্লা জিলা স্কুল। ছোটবেলায় বড় হয়েছেন পাহাড়ে-পাহাড়ে। রাঙামাটি আর বান্দরবান, লেখকের তিন ভাই-বোন। পড়াশোনার ভান করেছেন বাংলাদেশ,জার্মানী ও যুক্তরাজ্যে। বিষয় বরাবরের মতোই সামাজিক বিজ্ঞান। কখনো সেই সমাজ ছিলো দেশি। কখনো বিদেশি। কখনো মিলেমিশে আর্ন্তজাতিক। স্কুলের মতোই এই পেশায় সেই পেশায় কাটিয়েছেন জীবন। একজাতিক ‘এক্সপ্রেশনস থেকে শুরু করে বহুজাতিক ‘গ্রে‘ বিজ্ঞাপনী সংস্থায় শ্রমিক ছিলেন। দৈনিক পত্রিকা যায়যায়দিন এ সাংবাদিক এবং দেশি কোর্পোরেট এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেড-এ কেরানী‘র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। বর্তমানে লেখক একটা গবেষণার চেষ্টা করে যাচ্ছেন লন্ডনের বাঙালী, শরণার্থী ও তাদের জীবনধারার উপর। এই লেখকের চৌদ্দ পুরুষের কেউ লেখক ছিলো বলে জানা যায় নাই। তবে দলিল লেখক থাকলেও থাকতে পারে। পাহাড়ের কাছ থেকে ধার করে উনি কবিতা লিখতেন।তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কবির জীবন বড় কষ্টের! তারপর শুরু করলেন ব্লগিং! এরপর জ¦লজ্বলে অনলাইন অ্যাক্টিভিজম।