'ক্যাথেড্রাল' বইয়ের কিছু কথাঃ ভ্যাটিক্যান সিটিকে বলা হয় খ্রিস্টিয়ানদের মক্কা। যেখানে রয়েছে, রোমানদের ক্যাথলিক চার্চ, অর্থাৎ সবচেয়ে বড় ক্যাথেড্রাল। ওই ক্যাথেড্রালের সিলিঙ জুড়ে রয়েছে ইতিহাসখ্যাত মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর আঁকা তিনশোর বেশি চিত্রকর্ম। এই হলো খুব স্বাভাবিক তথ্য - বিশ্বের বিভিন্ন স্থাপনা নিয়ে যারা ঘাটাঘাটি করে, তাদের প্রায় সবাই এটা জানে। কিন্তু যদি জানতে পারেন, আমাদের এই বাংলাদেশেই পাহাড় ভেঙে মাটির নিচ থেকে বের হয়েছে, অবিকল একই রকম একটি স্থাপনা, তাহলে কেমন হবে? যে স্থাপত্যের ছাদ জুড়ে রয়েছে ভ্যাটিক্যানের ক্যাথেড্রালের মতো অবিকল একই রকম চিত্রকর্ম আঁকা। উপরি হিসেবে রয়েছে অসংখ্য মূর্তি। মূর্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইতিহাসের চার বিখ্যাত রাজা - কিং ডেভিড, আলেক্সান্ডার দি গ্রেট, চার্লস দি গ্রেট, জুলিয়াস সিজার এবং একজন রহস্যময় বামনের মূর্তি। এতো বিখ্যাত সব লোকের সাথে রহস্যময় এই বামন কে? এতো বড় একটা ক্যাথেড্রাল এই বাংলাদেশে কে বানিয়েছিল? এটা কি পাহাড় ধ্বসের কারণেই মাটির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল, নাকি অন্য কোনও রহস্যময় কারণ ছিল? আর যেখানেই দামি অ্যান্টিক আর ঐতিহাসিক রহস্যময় ব্যাপার থাকে, সেখানেই থাকবে বিপদের ঘনঘটা। সেই বিপদকে ছাপিয়ে রহস্যের শেষ পর্যন্ত কি যেতে পারবে মেজর রবি আর আর্কিওলজিস্ট মাহিনের দল? সেই বিপদকে মেজর রবি আর আর্কিওলোজিস্ট মাহিনের দল কি পারবে মোকাবিলা করতে? শেষ পর্যন্ত কি হবে তাদের?
পৈত্রিক সূত্রে চট্টগ্রামের মানুষ। যদিও বান্দরবান, ঢাকা আর সিলেটেই থাকা হয়েছে জীবনের বেশির ভাগ সময়। বাবা মোঃ আয়ুব ও মা ফাহিমা পারভীন রিতা। একমাত্র বড় বোন শারমিন আক্তার শিমু। পড়াশোনা করেছি চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে। বিএসসি শেষ করে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছি চট্টগ্রাম এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে। ছোটবেলা থেকেই আঁকা আঁকির সাথে ছিলাম। ঘটনাক্রমে লেখক হয়ে গেছি। দুটো শখ মানুষের কখনো থাকে না একসাথে। তবুও মাঝে মধ্যে নিজেকে আঁকিয়ে, কখনো বা লেখক হিসেবে পরিচয় দিতে আনন্দ পাই। নিজের সম্পর্কে এটুকুই।