লেখকের কথা পড়ালেখা যে বিষয় নিয়েই শেষ করি না কেন চিরসত্য হচ্ছে আমার জীবনের প্রথম বই ছিল বাংলা। একদিন ঘুম থেকে উঠার পর বাবা হঠাৎ বলল তোমার জন্য একটি বই নিয়ে এসেছি। এখন থেকে পড়বে, বলে হাতে তুলে দেয় বইটি। আমার এখনো বইয়ের নামটি মাথায় ভাসে, বইটির উপরে লেখা ছিল “আমার বাংলা বই”। বাবা জীবনের প্রথম পড়া মুখস্থ করালেন বইটির কবিতাগুলি দিয়েই। আতা গাছে তোতা পাখি ডালিম গাছে মউ, রবীন্দ্রনাথের আজ আমাদের ছুটি ও ভাই আজ আমাদের ছুটি। কিছুদিন পর কবিতাগুলি খুব দ্রুত মুখস্থ বলতে পারতাম। শখ করে জীবনের প্রথম হজরত ভাই-এর সাথে যেদিন বাবা বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিল, ছুটি কবিতাটি কেউ না পারায় ক্লাসের ছাত্র না হয়েও আমি উত্তর করেছিলাম। এই যে দেখুন গল্প বলা শুরু করে দিলাম, যাহোক এভাবে দ্বিতীয় শ্রেণীতে কাজী নজরুল ইসলামের আমি হব সকাল বেলার পাখি, তৃতীয় শ্রেণিতে চল চল চল। স্কুল জীবনে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছিল কিন্তু স্বপ্ন দেখিনি কখনও কবিতা লিখতে পারব। খুব মনে হচ্ছে স্বপ্ন আজ সত্যি হল ‘অনুপ্রেরণা’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার মাধ্যমে। কবি হওয়ার যোগ্যতা আমার হয়তো নেই তবুও সজ্ঞানে এতটুকু বলব কীভাবে আদর্শ, ভালো মানুষ হওয়া যায়, সম্মান দেয়া নেয়া, কীভাবে ভয়কে দূরে ঠেলে পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতার হাসি মুখে ফুটে উঠে, মোটকথা বয়স বাড়ার সাথে সাথে একজন মানুষের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন তথা জীবনে চলার পথে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার একটুখানি প্রয়াস হবে ‘অনুপ্রেরণা’ গ্রন্থটি, ইশাআল্লাহ এতটুকু আশা রাখি। এম এ রউফ ৩১.১২.২০১৭