‘অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ’ বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ রোমান দার্শনিক লুকিউস আন্নাইউস সেনেকা খ্রি.পূ. ৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমান স্পেনের কর্ডোভাতে জন্মগ্রহণ করলেও খুব অল্প বয়সে পরিবারের সাথে রোমে চলে আসেন। মায়ের প্রভাবে দর্শনের জগতে প্রবেশ করেন। স্টোয়িকবাদের সাথে পরিচিত হন এবং শক্ত অনুসারী ও প্রচারকে পরিণত হন । তিনি ছিলেন রোমান সম্রাট নীরুর গৃহশিক্ষক এবং পরবর্তীতে উপদেষ্টা। রাজনীতির রেষারেষি থেকে দূরে থেকে দর্শনের জগতে প্রবেশে উৎসাহিত করলেও নীরু যে সেনেকার প্রভাব থেকে মুক্ত ছিলেন সেটা সুস্পষ্ট। রোমান সাম্রাজ্যে বিভিন্ন বড় পদে দায়িত্ব পালন করে সেনেকা অবসরে যান । রোমান সম্রাট নীরুকে হত্যার লক্ষ্যে পিসোনিয়ান ষড়যন্ত্র হয় ৬৫ খ্রি.। সেই ব্যর্থ ষড়যন্ত্রে সেনেকার নামও চলে আসে। তবে বেশিরভাগ গবেষকেরই মতামত সেনেকা এতে জড়িত ছিলেন না কিন্তু কী আর করা! রাজরোষের শিকার হলেন সেনেকা এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দিল তারই ছাত্র সম্রাট নীরু । সেনেকার বেশিরভাগ নাটকই ট্রাজেডি। বিখ্যাত নাটকগুলো হচ্ছে: দ্য ম্যাডনেস অব হারকিউলিস, দ্য ট্রোজান ওইমেন, দ্য ফিনিসিয়ান ওইমেন, আগামেমনন, ঈদিপাস, মিদিয়া । চিঠি ও প্রবন্ধ আকারে অনেকগুলো গদ্য লিখেন যার প্রতিটিতেই জীবনের গভীর উপলব্ধি অর্জনের মসলা পাওয়া যাবে। পলিনাস নামে একজন রোমান রাজকর্মচারীকে উদ্দেশ্য করে ‘অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ লিখেছিলেন। সময়টা ছিল ৪৯ খ্রিষ্টাব্দ । ল্যাটিন ভাষায় বইটির শিরোনাম ছিল De Brevitate Vite (দে ব্রেভিতাতে ভিতায়ে)। প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ সূ চি প ত্রঃ সেনেকার পরিচয়/ ১৫ অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ/ ১৭ সংক্ষেপে যা শিখলাম / ৪৪ স্টোয়িকবাদ কী ও সেনেকা পরবর্তী প্রভাবশালী স্টোয়িক কারা / ৪৬ জীবন পাল্টে দেয়ার মতো ২৫টি বই/ ৪৯ পরিশিষ্ট/ ৭৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে আনুষ্ঠানিক পাঠ সম্পন্ন করলেও সাবিদিন ইব্রাহিম নিজেকে দর্শন, ইতিহাস ও বিশ্বসাহিত্যের ছাত্র মনে করেন। বর্তমানে একটি জাতীয় পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় কাজ করছেন। ২০১৬ সালে প্রকাশিত তার ‘ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস’ও ২০১৯ সালে প্রকাশিত ‘জীবন গড়তে বই’ পাঠকমহলে বেশ সাড়া ফেলেছে। ২০১৫ এর নভেম্বরে বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার'-এর ৬১তম সংখ্যায় বারটি জেন কবিতার অনুবাদ প্রকাশিত হয়। এছাড়া তার অনূদিত সানজু’র ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ (২০১৭) এবং সেনেকা’র ‘অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ’ (২০১৮) বেশ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়েছে ‘ডায়োজেনিসের বচনামৃত’ এবং হেরাক্লিটাসের ‘কুড়িয়ে পাওয়া মুক্তা’। বাংলাদেশ স্টাডি ফোরাম (বিডিএসএফ) এর প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। সাবিদিন ইব্রাহিম কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার শিদলাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো দেশ ও সমগ্র বিশ্বকে জন্মস্থান মনে করছেন।