ক্যারিয়ার নিয়ে হরেক মানুষের হরেক রকম স্বপ্ন। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্নে বুঁদ অনেকেই। কেউ হতে চায় ব্যাংকার। নীল আকাশে ডানা মেলে উড়তে পাইলট হওয়ার স্বপ্নে বিভোর কেউ কেউ। কেবিন ক্রু বা এয়ার হোস্টেস হওয়াটাও অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো। নীল সমুদ্র আবার টানে অনেককে; হতে চায় জাহাজের ক্যাপ্টেন, সাবমেরিনার কিংবা নাবিক। কারো এইম ইন লাইফ ডাক্তার হওয়া, কারো বা ইঞ্জিনিয়ার। কৃষি নিয়েও স্বপ্ন বুনছে কেউ। কারো ব্রত শিক্ষক হয়ে জ্ঞানের আলো ছড়ানো। ন্যায়দণ্ডের কাণ্ডারি কিংবা নামজাদা উকিল হওয়ারও স্বপ্ন দেখে অনেকে। কেউ আবার সাংবাদিকতায় নাম লিখিয়ে উঠতে চায় খ্যাতির শীর্ষে। কেউ বা সাত-সমুদ্দুর পার হয়ে পাড়ি জমাতে চান ভিনদেশে। কারো বাসনা জাঁদরেল পুলিশ অফিসার হওয়া। সেনাবাহিনীতেও নাম লেখাতে চায় অনেকে; হতে চায় ক্যাপ্টেন, সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট কিংবা সৈনিক। কারো কারো সংগতি নেই বেশি দূর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার, এসএসসির পর একটা চাকরি জোটাতে পারলেই তাদের স্বপ্নটা সত্যি হয়। স্বপ্ন তো দেখে সবাই, সবার স্বপ্ন কি পূরণ হয়? স্বপ্নপূরণে চাই সঠিক দিকনির্দেশনা। চাকরি হচ্ছে না কিংবা অপছন্দের চাকরিতে থেকে পছন্দসই চাকরি খুঁজছেন, এমন দিগ্ভ্রষ্টদের ঠিক বাতিঘরের মতোই পথ দেখাবে হাতের মুঠোয় স্বপ্নের চাকরি। হাতের মুঠোয় স্বপ্নের চাকরি বইটি সাজানো হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকা ৩০টিরও বেশি চাকরির বিশদ প্রস্তুতি ও দরকারি পরামর্শ নিয়ে। জুতসই চাকরি খুঁজছেন, এমন তরুণ-তরুণীদের জন্য দারুণ সহায়ক হবে বইটি। এর দিকনির্দেশনা মেনে ঠিকঠাক প্রস্তুতি নিলে হতে পারে ইচ্ছাপূরণ, হাতের মুঠোয় ধরা দিতে পারে স্বপ্নের চাকরি।
শিশুসাহিত্যিক, গল্পকার, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক জনপ্রিয় লেখক আরাফাত শাহরিয়ার। লেখালেখিতে হাতেখড়ি ইশকুলবেলায়। ছোটদের রাজ্য রঙিন করতে লিখছেন দুই যুগ ধরে। লিখেন বড়দের জন্যও। শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের জন্য লিখছেন দুই দশকের বেশি সময় ধরে। শীর্ষ জাতীয় দৈনিকগুলোতে নিয়মিত লেখা ছাপা হয়। সৃজনশীল পারিবারিক আবহে দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বেরোয় কাব্যগ্রন্থ ‘বজ্রকণ্ঠ’। প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। দুটি শিশু-কিশোর গল্পগ্রন্থ, বেশিরভাগ গ্রন্থ শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক। প্রকাশের অপেক্ষায় বেশ কয়েকটি গ্রন্থ। লেখকের জন্ম ৩০ জুন, জামালপুরের সরিষাবাড়িতে। সেখানেই কেটেছে দূরন্ত শৈশব-কৈশোর। বাবা আলহাজ্ব এম. এ. কুদ্দুস সরকার ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। মা আমিনা খাতুন পেয়েছেন ‘রত্নগর্ভা’ পুরস্কার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। সাংবাদিকতায় উচ্চতর ডিপ্লোমা বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট থেকে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বেছে নেন সাংবাদিকতা। কাজ করেছেন শীর্ষ জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও কালের কণ্ঠে। সম্পাদনা করছেন দরকারি তথ্যভিত্তিক পোর্টাল ‘ইনফোপিডিয়া’। বর্তমানে দেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। সহধর্মিনী মোহসিনা হোসাইন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক। অবসর কাটে বই পড়ে, সিনেমা দেখে। স্বপ্ন দেখেন এক নতুন বাংলাদেশের, যেখানে অপার সম্ভাবনা।